প্রকৃতির কাছে প্রযুক্তি কিংবা সভ্যতা, সবই কতটা অসহায় তারই যেন নৃশংস প্রমাণ তুরস্কের ভূমিকম্প। দফায় দফায় ভূমিকম্পে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, আহতের সংখ্যা অজানা। অজানা এখনো আটকে পড়াদের সংখ্যাও। যার শিকার হয়েছে ক্রীড়াঙ্গনও, নিখোঁজ অসংখ্য খেলোয়াড়।
এখন পর্যন্ত নিখোঁজ খেলোয়াড়দের মাঝে বড় নাম ক্রিশ্চিয়ান আতসু। আগের রাতেও গোল আনন্দে মেতেছিলেন এই ফুটবলার, ক্লাবের জার্সিতে পেয়েছিলেন গোলের দেখা। তবে সকাল আর দেখা হয়নি তার, ঘুমের মাঝেই চাপা পড়ে গেছেন বহুতল ভবনের ধ্বংসস্তূপে। আতসু ঘানা জাতীয় ফুটবল দলের একজন সদস্য। খেলেছেন চেলসি ও নিউ ক্যাসেল সিটির মতো বড় ক্লাবেও।
ঘানার ৩১ বছর বয়সী এই ফুটবলার তুরস্কের যে বহুতল ভবনে ছিলেন, সেটিও সোমবার সকালের ভূমিকম্পের পর ভেঙে পড়ে। তারপর থেকে আর আতসুর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। হোটেলটি পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। ধ্বংসস্তুপ থেকে একের পর এক লাশ উদ্ধার হচ্ছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন হেটাস্পোর গোলরক্ষক আহমেত ইয়ুপও। এ ছাড়া দলটির সাপোর্ট স্টাফের অনেক সদস্যও সেখানে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব নিউক্যাসল ইউনাইটেড এক টুইট বার্তায় লেখে, আতসুর ব্যাপারে ইতিবাচক সংবাদের জন্য প্রার্থনা করছি। এদিকে সকল হতাহতসহ খেলোয়াড়দের জন্য প্রার্থনা করছে সারা বিশ্বের ক্রীড়াঙ্গন। সমবেদনা প্রকাশ করেছে সবাই। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার প্রার্থনায় এখন একটাই নাম, তুরস্ক।
জানা গেছে, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী ভলিবল দলের ১৪ খেলোয়াড় আটকা পড়েছেন একটি ভবনে, খোঁজ মিলছে না একটি স্কুল ফুটবল দলেরও। তাছাড়া বিভিন্ন খেলার সাথে সংশ্লিষ্ট অনেক খেলোয়াড় ও সাপোর্টিং স্টাফরাও এখনো নিখোঁজ আছেন।