শান্তকে সরিয়ে শীর্ষে তৌহিদ হৃদয়

এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগটা (বিপিএল) স্বপ্নের মতো কাটছে সিলেট স্ট্রাইকার্সের ব্যাটার তৌহিদ হৃদয়ের। ফিফটি করেছিলেন টানা তিন ম্যাচে। এর পরই আঙুলের চোটে ছিটকে যান কিছুদিন। গত ৩০ জুন সর্বশেষ ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ৭৪ রানের ইনিংসে ফিরে পান নিজেকে। শনিবার মিরপুরে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে খেললেন ৫৭ বলে ১৩ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় হার না মানা ৮৫ রানের ইনিংস। এবারের বিপিএলে এটা পঞ্চম ফিফটি হৃদয়ের, যা সর্বোচ্চ। শুধু তা-ই নয়, এবারের বিপিএলে সবচেয়ে বেশি ৩৭৩ রানও হৃদয়ের।

২ ম্যাচ কম খেলেই হৃদয় পেছনে ফেলেছেন তাঁরই সতীর্থ নাজমুল হোসেন শান্তকে। ৩৭১ রান নিয়ে চলতি আসরে রান সংগ্রাহকদের তালিকায় এখন দুইয়ে শান্ত। ফরচুন বরিশালের পাকিস্তানি ব্যাটার ইফতিখার আহমেদ ও দলটির অধিনায়ক সাকিব আল হাসান দুজনেরই সমান ৩৪৭ রান। ৩৪২ রান করা নাসির হোসেন আছেন তালিকার পঞ্চম স্থানে।

আসরের শীর্ষ দল সিলেট স্ট্রাইকার্সকে স্রেফ উড়িয়ে দিল রংপুর রাইডার্স। রনি তালুকদার-নাঈম শেখের তৈরি মঞ্চে ফিনিশিং টাচ দেন শোয়েব মালিক আর নুরুল হাসান সোহান। রংপুর রাইডার্স জয় পায় ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে। সেটাও ১২ বল হাতে রেখে। চলতি আসরে এটা রংপুরের টানা পঞ্চম জয়।

মিরপুর শেরে বাংলায় রান তাড়ায় নেমে ঝড়ো শুরু করেন রংপুর রাইডার্সের দুই ওপেনার নাঈম শেখ এবং রনি তালুকদার। দুজনের মাঝে রনি তালুকদারই আগ্রাসী ছিলেন। মাত্র ২৭ বলে তুলে নেন ফিফটি। মাত্র ৯.৩ ওভারে ওপেনিং জুটিতে একশ রান এসে যায়। তখনই মোহাম্মদ ইরফানের বলে মুশফিকুর রহিমের তালুবন্দি হয়ে থামেন রনি তালুকদার। শেষ হয় তার ৩৫ বলে ৮ চার ৩ ছক্কায় ৬৬ রানের ঝড়ো ইনিংস।

নাঈম শেখও ফিফটির কাছে চলে গিয়েছিলেন। ৩২ বলে ৬ চারে ৪৫ রান করে রেজাউর রহমানের বলে বোল্ড হয়ে থামে তার ইনিংস। এরপর রংপুর অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান আর শোয়েব মালিক ভালোই এগোচ্ছিলেন। এই জুটিতেই ১২ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রংপুর। শোয়েব মালিক ২৪ বলে ৪ বাউন্ডারি আর এক ওভার বাউন্ডারিতে ৪১* আর সোহান ১৭ বলে ১৭* রানে অপরাজিত থাকেন।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২ উইকেটে ১৭০ রান তোলে সিলেট স্ট্রাইকার্স। শুরুতে অবশ্য রংপুরের বোলিং তোপে চাপে ছিল সিলেট। বিশেষ করে নাজমুল হোসেন শান্ত খেলছিলেন ধীরগতিতে। পাওয়ারপ্লেতে আসে মাত্র ২৬ রান। ২২ বলে ১৫ রান করা শান্তকে ৯ম ওভারে হাসান মাহমুদ বোল্ড করলে ৪৩ রানে ভাঙে ওপেনিং জুটি। তিনে নামা জাকির হাসান আজ ৭ রানের বেশি করতে পারেননি।

এরপরই তৌহিদ হৃদয়ের সঙ্গে দারুণ একটা জুটি গড়েন আজকের ম্যাচে সিলেটের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ৪৩ বলে ফিফটি পূরণ করেন তৌহিদ হৃদয় এর মুশফিকও ফিফটি তুলে নেন ৩০ বলে। জুটি ছাড়িয়ে যায় একশ। এই জুটি আর ভাঙতে পারেননি রংপুরের বোলাররা। তৌহিদ হৃদয় ৫৫ বলে ১৩ চার ২ ছক্কায় ৮৫* এবং মুশফিক ৩৫ বলে ৫ চার ৩ ছক্কায় ৫৫ রানে অপরাজিত থাকেন। তাদের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে আসে ১১১ রান। নির্ধারিত ২০ ওভারে ২ উইকেটে ১৭০ রান তোলে সিলেট স্ট্রাইকার্স।