পাত্রীসহ ডেস্টিনেশন ওয়েডিংয়ে ক্যারিবীয় অঞ্চলের দেশ বেলিজে যেতে সেন্ট লুইস মিসৌরি বিমানবন্দরে কনেপক্ষ। কিন্তু হঠাৎ বাতিল হয়ে যায় তাদের ফ্লাইট। ফলে সবাই ব্যর্থ হয় তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে। কনের অনুপস্থিতিতে বিয়ের অনুষ্ঠানই স্থগিত হয়ে যায়। এতে প্রায় ৭০ হাজার ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৭৫ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে পাত্রীপক্ষ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ২৭ ডিসেম্বর সেন্ট লুইস মিসৌরি বিমানবন্দর থেকে ‘ডেস্টিনেশন ওয়েডিং’-এ বেলিজ যাওয়ার কথা ছিল পাত্রী কেটি ডেমকোর। তার সঙ্গে কনেপক্ষের প্রায় সবাই ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ নির্ধারিত বিমানটি বাতিল হয়ে যায়। অন্য বিমানের জন্যও তারা চেষ্টা করেন। কিন্তু কোনো বিমানই সেই মুহূর্তে ছিল না। যে সাউথওয়েস্ট সংস্থার বিমানে তাদের যাওয়ার কথা ছিল, তার ক্যাপ্টেন জানিয়ে দেন বিমানকর্মীর অভাবেই রওনা হওয়ার কিছুক্ষণ আগেই তাকে হঠাৎ বাতিলের ওই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
কেটি জানিয়েছেন, ওই বিমান বাতিলের পর তিনি ৭টি ভ্রমণ সংস্থার প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এমনকি তারা কানকুনে নেমে বাসে করেও বেলিজ পৌঁছাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই কানকুন যাওয়ার কোনো বিমান তারা পাননি।
কেটি বলেন, আমার বাগদত্তা মিচেলের সপরিবার আমাদের জন্য ১৮ ঘণ্টা অপেক্ষা করেছিলেন। আমি অনেক চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু কোনভাবেই পৌঁছাতে পারিনি।
তিনি আরও বলেন, পরের দিন তার কয়েকজন বন্ধুর ওই সংস্থার বিমানে বেলিজ যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সাউথওয়েস্ট তাকে তাদের সঙ্গেও টিকিট বদল করে দেয়নি। ফলে তারা কোনভাবেই আর বেলিজ পৌঁছাতে পারেননি।
কেটির অভিযোগ, সাউথওয়েস্ট বিমান বাতিলের জন্য কোনো ক্ষতিপূরণ দেয়নি। শুধু তাই নয়, বিয়ের অনুষ্ঠান না হাওয়া সত্ত্বেও তারা যে রিসোর্ট বুক করেছিলেন, তাদের কাছ থেকেও কোনো ক্ষতিপূরণ পাননি। সব মিলিয়ে কেটির প্রায় ৭৫ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে বলে দাবি করেছেন।