দিয়েগো ম্যারাডোনা নাকি লিওনেল মেসি। এ বির্তক দীর্ঘদিনের। এই বির্তক নিয়ে বিভক্ত পুরো আর্জেন্টিনা। এমন কী আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী কোচ লিওনেল স্কালনিও যোগ দেন এই বির্তকে।
কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পর দিয়েগো ম্যারাডোনার সঙ্গে লিওনেল মেসির লড়াইটা আগের চেয়ে জমে উঠেছে। জানুয়ারিতে আর্জেন্টাইনদের মধ্যে এক জরিপে দেখা যায় বেশ বড় ব্যবধানে ম্যারাডোনার চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন ৩৬ বছর পর আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতানো মেসি।
জরিপকারী প্রতিষ্ঠান ‘ওপিনা আর্জেন্টিনা’ দেশটির সেরা ফুটবলার নির্বাচনে একটি জরিপ চাড়ায়। আর্জেন্টিনার সরকার, রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে কৌশলগত পরামর্শ দেওয়া এই প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটের তথ্য বিশ্লেষণ ও জনমত জরিপে দেখে যায় বেশি সংখক আর্জেন্টাইন মেসিকে ইতিহাসের সেরা ফুটবলার হিসেবে বেছে নিয়েছেন।
গত ৯ জানুয়ারি থেকে ১২ জানুয়ারি আর্জেন্টিনার বিভিন্ন জায়গায় পরিচালিত এই জরিপে অংশ নেন ১ হাজার ১০০ আর্জেন্টাইন। এদের মধ্যে শতকার ৬০ শতাংশ সেরা ফুটবলার হিসেবে মেসিকে বেছে নিয়েছেন। ২৮ শতাংশের ভোট গেছে ম্যারাডোনার ঘরে। আর বাকি ১২ শতাংশ হয় উত্তর দেওয়া থেকে বিরত থাকেন।
স্প্যানিশ গণমাধ্যম মার্কা ও আর্জেন্টিনার গণমাধ্যম ক্লারিন জানিয়েছে, জনপ্রিয়তায় নারীদের কাছে ম্যারাডোনার চেয়ে অনেক এগিয়ে মেসি। ৬৯ শতাংশ নারী এগিয়ে রেখেছেন মেসিকে। অবাক করার বিষয় যাদের উভয়ের খেলার দেখার সৌভাগ্য হয়েছে, তাদের কাছেও এগিয়ে মেসি।
৫০ পেরুনো বয়স্কদের মধ্যে শতকরা ৬৩ জন ভোট দেন মেসির পক্ষে। আর ৩০ থেকে ৪৯ বছর বয়সীদের মাঝেও জনপ্রিয়তায় এগিয়ে মেসি। আর তরুণ প্রজন্মের কাছে অনুমিতভাবে এগিয়ে আছেন মেসি। ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের ৬২ শতাংশের মতে মেসিই সেরা। অবশ্য এই বয়সের ৩৫ শতাংশ মনে করে ম্যারাডোনা সেরা।
জরিপকারী প্রতিষ্ঠান ওপিনা আর্জেন্টিনা টুইটে লিখেছে, ‘মেসির আধিপত্যের পরও জনপ্রিয়তার কোটায় ডিয়েগোকেই সবাই বেশি পছন্দ করে। আর্থসামাজিক অবস্থানের নিচু স্তরে ৪৯ শতাংশ মনে করেন, ম্যারাডোনাই সেরা আর ৪৫ শতাংশ মনে করেন মেসি সেরা।’
ম্যারাডোনার একক নৈপুণ্যে ১৯৮৬ সালে মেক্সিকো বিশ্বকাপ জেতে আর্জেন্টিনা। সেই পারফরম্যান্সের ফলে সর্বকালের সেরা ফুটবলার হিসেবে ব্রাজিলের পেলের সঙ্গে তুলনা করা হয় তার। অন্যদিকে ২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে শিরোপা জিতিয়েছেন মেসি। নির্বাচিত হন বিশ্বকাপের সেরা ফুটবলার হিসেবে।