ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের শীর্ষ দল হিসেবে ভারত সফরে এসেছিল নিউজিল্যান্ড। সিরিজের তিন ম্যাচে হেরে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর সেখান থেকে চার নম্বরে নেমে গেছে ব্ল্যাকক্যাপসরা। ঠিক উল্টোটা হয়েছে ভারতের ক্ষেত্রে। চার নম্বরে থেকে সিরিজ শুরু করে সিরিজ শেষে শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে রোহিত শর্মার দল।
পুরো সিরিজেই ব্যাট ও বল হাতে বেশ আধিপত্য বিস্তার করেছে ভারত। তরুণ ওপেনার শুভমন গিল তিন ম্যাচের দুটোতেই পেয়েছেন সেঞ্চুরির দেখা। অন্যদিকে বল হাতে মোহাম্মদ সিরাজ, মোহাম্মদ শামি ও কুলদীপ যাদবরা ছিলেন অনবদ্য। তাতে তিন ম্যাচেই বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা। আর এর ফলস্বরূপ র্যাংকিংয়ে সুখবর পেল দুই বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলটি।
ভারত-নিউজিল্যান্ড সিরিজের পর ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে এসেছে বড়সড় পরিবর্তন। ১১৪ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে এখন সবার উপরে ভারত।
১১৩ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ভারতের ঘাড়েই নিশ্বাস ফেলছে ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়াও খুব একটা দূরে নেই। ১১২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে প্যাট কামিন্সের দল আছে তিন নম্বরে। আর ১১১ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে নেমে গেছে নিউজিল্যান্ড।
মঙ্গলবার ইন্দোরে সিরিজের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ৯০ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে ভারত। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে রোহিত শর্মা ও শুভমন গিলের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে দারুণ শুরু পায় ভারত। ২৬.১ ওভারে ২১২ রানের জুটি গড়ার পর রোহিত আউট হন ১০১ রান করে। ২৩০ রানের মাথায় গিল আউট হন ৭৮ বলে ১২টি চার ও ৫ ছক্কায় ১১২ রান করে। ৯ উইকেটে ৩৯৫ রান সংগ্রহ করে ভারতীয়রা।
রান তাড়া করতে নেমে শূন্যরানেই ফিন অ্যালেনের উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। সেখান থেকে কনওয়ে ও হেনরি নিকোলস ১০৬ রান তোলেন দ্বিতীয় উইকেটে। এই রানে নিকোলস আউট হন ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৪২ রান করে।
সঙ্গী হারিয়েও এরপর কনওয়ে দৃঢ়তা দেখান। মাত্র ৭১ বলে ৭টি চার ও সমান সংখ্যক ছক্কায় সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তার ব্যাটে ভর করে প্রয়োজনীয় রান রেটে এগোচ্ছিল নিউজিল্যান্ড। কিন্তু দলীয় ২৩০ রানের মাথায় কনওয়ে ১০০ বলে ১২ চার ও ৮ ছক্কায় ১৩৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন। শেষ পর্যন্ত ৪১.২ ওভারে ২৯৫ রানে অলআউট হয়ে যায় নিউজিল্যান্ড।