পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দুই দলের লড়াইয়ে জয়ী হয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। আগে ব্যাট করে নাজমুল হোসেন শান্তর ৮৯ রানে ভর করে সিলেট সংগ্রহ করে ১৭৩ রান। জবাবে বরিশাল থামে ১৭১ রানে। মাত্র ২ রানে জয়ী হয়েছে সিলেট।
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামে সিলেট স্ট্রাইকার্স। ওয়াসিম জুনিয়রের প্রথম ওভারেই নাস্তানাবুদ হয়ে যায় সিলেট। এক ওভারেই হারায় তিনটি উইকেট। সেটি ছিল সিলেটের ইনিংসের দ্বিতীয় ওভার। ওই ওভারে বিদায় নেন জাকির হাসান (বোল্ড), তৌহিদ হৃদয় (কট), মুশফিকুর রহিম (এলবিডব্লিউ)। দুই ওভারে ১৫ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে সিলেট।
ঘরের মাঠে সিলেটকে বিপদ থেকে রক্ষা করেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও টম মুরস। চতুর্থ উইকেটে ৮১ রানের জুটি গড়েন তারা দুইজন। মুরকে শিকার করে এই জুটি ভাঙেন সাকিব আল হাসান। সাকিবের বলে স্টাম্পিং আউট হন মুরস। ইংল্যান্ডের এই ক্রিকেটার করেন ৩০ বলে ৪০ রান। তার ব্যাট থেকে আসে চারটি চার ও একটি ছক্কা।
শান্ত ৪৮ বলে ৫০ রান করেন। ধীরগতিতে শুরু করলেও অর্ধশতকের পর দ্রুত গতিতে রান করা শুরু করেন তিনি। পরের ১৮ বলে করেন ৩৯ রান। তবে শুরুতে ধীরগতিতে খেলার কারণে আর তিন অঙ্ক স্পর্শ করা হয়নি। ৬৬ বলে ৮৯ রানে অপরাজেয় থাকেন শান্ত। তার ব্যাট থেকে আসে ১১টি চার ও একটি ছক্কা।
নির্ধারিত ২০ ওভারে সিলেট সংগ্রহ করে ১৭৩ রান। ওয়াসিম তিনটি এবং সাকিব ও কামরুল নেন দুইটি করে উইকেট।
ফরচুন বরিশালকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়ে বিদায় নেন সাইফ হাসান। চারটি ছক্কা হাঁকানোর পথে তিনি করেন ১৯ বলে ৩১ রান। টানা দুই ওভারে সাইফ হাসান ও এনামুল হক বিজয়কে শিকার করেন তানজিদ হাসান সাকিব। তারপর বড় জুটি গড়েন সাকিব আল হাসান ও ইব্রাহিম জাদরান।
তৃতীয় উইকেটে সাকিব ও ইব্রাহিমের জুটিতে আসে ৬১ রান। তাদের দুইজনকেই একই ওভারে বোল্ড করেন রেজাউর রহমান রাজা। ইব্রাহিম ৩৭ বলে ৪২ রান ও সাকিব ১৮ বলে ২৯ রান করেন। ইব্রাহিম চারটি চার ও দুইটি ছক্কা হাঁকান। সাকিবের ব্যাট থেকে আসে তিনটি চার ও একটি ছক্কা।
সাকিব ও ইব্রাহিমের বিদায়ের পর মাঠে মাঠে নামেন করিম জানাত ও ইফতিখার আহমেদ। ঝড় তোলেন জানাত। ৭ বলেই তুলে ফেলেন ২১ রান। তারপর ঝিমিয়ে পড়েন তিনিও। ১২ বলে সেই ২১ রান করেই বিদায় নেন জানাত। মোহাম্মদ আমিরের বলে তার হাতেই ক্যাচ দেন জানাত।
পরের ওভারেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকেও শিকার করেন আমির। এক ছক্কায় ৪ বলে ৭ রান করে বাউন্ডারিতে তালুবন্দী হন রিয়াদ।
জয়ের জন্য শেষ ওভারে বরিশালের প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। ক্রিজে ছিলেন ইফতিখার আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ। মাত্র দুই রান দূরে থেকেই থামে বরিশাল। সাকিবের দল সংগ্রহ করে ১৭১ রান। ফলে দুই রানের জয়ে ষষ্ঠ জয় তুলে নিলো মাশরাফির সিলেট। সিলেটের পক্ষে রাজা তিনটি এবং আমির ও সাকিব দুইটি করে উইকেট নেন।