বিসিবি আর সমালোচনা যেন এক সুতোই গাঁথা। কখনো বিসিবি আর ক্রিকেটারদের সম্পর্ক নিয়ে সমালোচনা তো কখনো আবার কোচ নিয়ে সমালোচনা। বর্তমানে আলোচনা সমালোচনা তুঙ্গে আছে বিপিএল। চলতি বিপিএলে ডিআরএস প্রযুক্তির বদলে ব্যবহার করা হচ্ছে এডিআরএস প্রযুক্তি। যা নিয়ে সারা দেশে চলছে তুমুল আলোচনা সমালোচনা।
ডিআরএস প্রযুক্তি না থাকার কারণে টুর্নামেন্ট জুড়ে আম্পায়ারিং নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে খুব জোরে সরে। ঢাকা পর্বের মতো চট্টগ্রামেও ম্যাচে জাকের আলী অনিকের এলবিডব্লিউ নিয়ে বিতর্ক পুরো দেশে চলছে সমালোচনার ঝড়। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আম্পায়ারিং নিয়ে প্রশ্ন তুলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হেড কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।
দেশ সেরা কোচ সালাউদ্দিনের এমন মন্তব্যের কারণে তাকে কঠিন শাস্তি দিলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যার কারণে দেশসেরা এই কোচের ম্যাচ ফি’র ৫০ ভাগ কেটে নেওয়ার পাশাপাশি তার নামের পাশে ৩টি ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ করা হয়েছে।
রোববার (১৫ জানুয়ারি) রাতে বিসিবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ফরচুন বরিশাল ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ম্যাচ শেষে কুমিল্লা কোচ সালাউদ্দিন যে মন্তব্য করেছেন, তা বিসিবির কোড অব কনডাক্টের লেভেল-২ এর আর্টিকেল ২.৭ বিরোধী। তাই শাস্তির মুখে পড়েছেন তিনি।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, ‘কোচ সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে অনফিল্ড আম্পায়ার ডেভিড মিলনস, মোর্শেদ আলী খান সুমন, থার্ড আম্পায়ার তানভির আহমেদ এবং চতুর্থ আম্পায়ার মুজাহিদুজ্জামান স্বপন অভিযোগ আনেন। ফলে সালাউদ্দীন তার দোষ ম্যাচ রেফারি দেবব্রত পালের কাছে স্বীকার করেছেন। তাই আনুষ্ঠানিক কোনো শুনানির প্রয়োজন পড়েনি।’
আইসিসির ডিআরএস-এর নিয়ম অনুযায়ী, ফরচুন বরিশাল এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ম্যাচে জাকের আলী অনিকের এলবিডব্লিউ কোনোভাবেই আউট হয় না। কিন্তু আইসিসির নিয়ম পরিবর্তন করে বিসিবি তাদের বাইলজে নতুন নিয়ম যুক্ত করে। কিন্তু পরিবর্তনের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে না জানানোয় প্রশ্ন উঠছে।
সেদিন ম্যাচ শেষে নিজের অসন্তুষ্টির কথা জানিয়ে কোচ সালাউদ্দিন বলেছিলেন, ‘সবাই খালি চোখে দেখলো ওটা আউট নয়; কিন্তু টিভি আম্পায়ার রিপ্লে দেখে আউট দিলেন। আম্পায়ারিং নিয়ে আমরা কিছু বলতে পারবো না। কারণ আমাদের হাত-পা বাধা।’