সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার লক্ষ্য ছিল মান বাঁচানোর, অন্যদিকে ভারতের সামনে সুযোগ ছিল হোয়াইটওয়াশ করার। সেই সুযোগ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছে রোহিত শর্মার দল। বিরাট কোহলির বড় সেঞ্চুরিতে ৩৯১ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য দাঁড় করায় ভারত। আর সেই রান পাহাড়ের নিচে চাপা পড়েছে লঙ্কানরা। তৃতীয় ওয়ানডেতে ৩১৭ রানের ব্যবধানে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে রোহিতের দল। যা ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে রানের হিসেবে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ভুগেছে শ্রীলঙ্কা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলে মোহাম্মদ সিরাজকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে শুভমান গিলের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেন আভিশকা ফার্নান্দো। ১ রান করা এই ওপেনারকে দিয়ে লঙ্কার ব্যাটিং ধ্বসের শুরু।
তিন নম্বরে নেমে বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি কুশল মেন্ডিসও। এক চারে ৪ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। তার বিদায়ের পর দলে বিপদ আরও বাড়িয়েছেন চারিথ আসালঙ্কা। এই টপ অর্ডার ব্যাটার নামের পাশে যোগ করতে পেরেছেন কেবল এক রান।
৩১ রানে তিন উইকেট হারানোর পর ওপেনার নুয়ানিন্দো ফার্নান্দোকে নিয়ে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন দাসুন শানাকা। তবে ব্যর্থ হয়েছেন তারাও। অধিনায়ক সাজঘরে ফিরেছেন ১১ রানে, আর নুয়ানিন্দোর ব্যাট থেকে এসেছে দলীয় সর্বোচ্চ ১৯ রান।
এই দুই ব্যাটার ছাড়া দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পেরেছেন কেবল নয় নম্বরে ব্যাট করতে নামা কাসুন রাজিথা। ইনিংসে চতুর্থ সর্বোচ্চ রান এসেছে অতিরিক্ত থেকে। দলীয় অর্ধশতক পূর্ণ করতে ৭ ব্যাটারকে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। শেষ পর্যন্ত ৭৩ রানে অলআউট হয়েছে শানাকার দল। তাতে ৩১৭ রানের ব্যবধানে জিতে সিরিজে লঙ্কানদের হোয়াইটওয়াশ করেছে ভারত।
এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে ভারতকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার রোহিত এবং গিল। তাদের উদ্বোধনী জুটিতে ৯৫ রান তোলে ভারত। অধিনায়ক ৪২ রান করে সাজঘরে ফিরে গেলেও সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন আরেক ওপেনার গিল। তাছাড়া কোহলির ১১০ বলে ১৬৬ রানের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৯০ রান সংগ্রহ করে ভারত।