নেপালের পোখারায় বিমান বিধ্বস্তের সময় ফেসবুকে লাইভ করছিলেন এক ভারতীয় যুবক। হঠাৎই সব এলোমেলো হয়ে যায়। তারপরই ক্যামেরার দেখা গেল দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে।
ওই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, নেপালের দুর্ঘটনাকবলিত প্লেনটি বিধ্বস্তের সময় সোনু জয়সওয়াল নামে এক ভারতীয় যুবক ভিডিওটি করেছিলেন। পোখারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানটি অবতরণের সময় ভারতের উত্তরপ্রদেশের গাজীপুরের বাসিন্দা সোনু ফেসবুক লাইভ করছিলেন বলে একাধিক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। সেখানেই প্লেন বিধ্বস্ত হওয়ার মুহূর্ত ধরা পড়েছে।
রোববার (১৫ জানুয়ারি) সকালে পোখারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কিছুটা আগে বিধ্বস্ত হয় ইয়েতি এয়ারলাইন্সের প্লেন। ওই প্লেনে ৬৮ জন আরোহী এবং চারজন কেবিন ক্রু ছিলেন।
সবশেষ খবর অনুযায়ী, ইতোমধ্যে ৬৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও চার জনের সন্ধান মেলেনি।
সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই ফ্লাইটে পাঁচ জন ভারতীয় নাগরিক ছিলেন। তাদের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে চার জন আবার গাজীপুরের বাসিন্দা ছিলেন।
বিষয়টি নিয়ে উত্তরপ্রদেশের জেলাশাসক আর্যকা আখৌরি জানান, ইতোমধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। মহকুমা শাসক এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেছেন। ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধারের পর বাকি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গাজীপুরের যে চার যুবকের মৃত্যু হয়েছে, তারা হলেন— সোনু, অনিল রাজভর, অভিষেক কুশওয়া এবং বিশাল শর্মা। পুলিশ জানিয়েছে, বাদেসরের আলওয়ালপুর ছাত্তি গ্রামে থাকতেন বিশাল। যেখানে বাড়ি ছিল সোনুরও। তবে সারনাথে থাকতেন। বাদেসরের চক জৈনাবে থাকতেন অনিল। ননহারার ধারওয়ার বাসিন্দা ছিলেন অভিষেক। পঞ্চম যে ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে, সেই সঞ্জয় জয়সওয়ালের শিকড়ও গাজীপুরে থাকতে পারেন। কিন্তু তা এখনও নিশ্চিত করা হয়নি।