রোববার রাত ১০টা ২০ মিনিটের দিকে একটি ছবি পোস্ট করেন বাংলাদেশের নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন।
সেখানে দেখা গেছে, তিনি কোনো একটা হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে রয়েছেন। তসলিমা যে সেখানে চিকিৎসা করাতে এসেছেন, তা ওই ছবি দেখে স্পষ্ট। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
বেশ কয়েক দিন ধরেই ফেসবুকে তিনি ‘অদ্ভুত’ সব পোস্ট করছিলেন। কখনো মরণোত্তর দেহ হাসপাতালে দান করার কথা, কখনো বা তার মৃত্যু হয়েছে— লিখছিলেন এসবই।
এবার হাসপাতালে থাকার একটি ছবি পোস্ট করে বিভ্রান্তি আরও বাড়ালেন তসলিমা নাসরিন। কী হয়েছে লেখিকার? রোববার গভীর রাত পর্যন্ত এ বিষয়ে যদিও কিছু জানা যায়নি।
আগের পোস্টগুলোর সঙ্গে এই ছবির কি কোনো যোগসূত্র রয়েছে? তসলিমা যদিও তার ছবির সঙ্গে কোনো লেখা পোস্ট করেননি। তার ফলে বিভ্রান্তি আরও বেড়েছে।
ওই ছবি রোববার রাতে পোস্ট করার কিছুক্ষণ আগে তসলিমা কিছু নথি আপলোড করেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে— ২০১৮ সালে দিল্লির এমসে তিনি মরণোত্তর দেহ দান করেছেন।
একাধিক নথির একটিতে লেখা রয়েছে— তার মৃত্যুর পরেই যেন হাসপাতালে খবর দেওয়া হয়। কারণ তার দেহ দান করা হয়েছে। এ ছাড়া তিনি বেশ কিছু পুরনো পোস্টও শেয়ার করছেন কয়েক দিন ধরে।
যেমন শেয়ার করা একটি পুরনো পোস্ট, যেটি তিনি লিখেছিলেন ২০১৬ সালের ১৫ জানুয়ারি। ওই পোস্টের শেষে লেখা ছিল— ‘বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের কত কিছু, জগত ও জীবনের কত কিছু অজানা রেখে আমাদের চলে যেতে হয়!’
গত ৬ জানুয়ারি তসলিমা তার এক বন্ধুর সঙ্গে তোলা ছবি পোস্ট করে লিখেছিলেন— ‘৮০ কিলো থেকে চেষ্টা চরিত্তির করে ৮ মাসে হয়েছিলাম ৫২ কিলো। ৫২-এর হাড় সর্বস্ব শরীর দেখে ভয়ে পিছু হাঁটতে শুরু করলাম। দুই মাসে তড়িঘড়ি ওজন বাড়িয়ে করলাম ৫৬.৫ কিলো। এখানেই থেমে থাকুক চাইছি।’ এই পোস্ট থেকে স্পষ্ট, তসলিমা ওজন কমাচ্ছিলেন।
তবে সবচেয়ে বিভ্রান্তি বাড়িয়েছে গত ১৪ জানুয়ারি, দুপুর দেড়টার দিকে করা তসলিমার পোস্টটি। সেখানে তিনি লিখেছেন— ‘গতকাল ঠিক এই সময় মৃত্যু হয়েছে আমার। এখন ফিউনারেল (শেষকৃত্য) চলছে।’ এর পর ১৫ জানুয়ারি, সকাল ৬টা ১১ মিনিটে লিখছেন, ‘আমার মরণোত্তর দেহ হাসপাতালে দান করা হয়েছে।’
রোববার রাত ১০টা ১০ মিনিটে তিনি একাধিক নথি পোস্ট করেছেন। যার একটি ‘বডি ডোনার পকেট কার্ড’। তার মিনিট দশেক পরেই তসলিমা হাসপাতালে থাকার ছবি পোস্ট করেছেন।
এই ছবির মন্তব্যে অনেকে লিখেছেন, দ্রুত ওজন কমিয়ে ফেলার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণেই কি অসুস্থ হয়ে পড়লেন লেখিকা? তবে তসলিমা তো বটেই, তার ঘনিষ্ঠদের সূত্রেও রোববার গভীর রাত পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি, কী হয়েছে লেখিকার!