মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মীদের চাহিদা মেটাতে সহজ করা হচ্ছে কর্মী নিয়োগ পদ্ধত্তি। এর মাধ্যমে দেশটির কোনো প্রতিষ্ঠান তাদের প্রয়োজনের ভিত্তিতে বিদেশি কর্মী নিয়োগ করতে পারবে। এছাড়া দেশটিতে থাকা অবৈধ অভিবাসীদের আবারও বৈধ হওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।
দেশটির সরকার রিক্যালিব্রেশন কর্মসূচি পুনরায় চালু করতে এবং বিদেশি কর্মী নিয়োগে নিয়মনীতি আরও সহজ ও শিথিল করতে সম্মত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দাতুক সেরি আনোয়ার ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে গতকাল মঙ্গলবার বিদেশি কর্মী ব্যবস্থাপনার বিশেষ সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দেশটির স্থানীয় পত্রিকা মালয় মেল তাদের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
যৌথ সংবাদ সম্মেলনে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন নাসুন ইসমাইল বলেছেন, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বরে শেষ হওয়া রিক্যালিব্রেশন কর্মসূচি অবিলম্বে কার্যকর করা হবে। আগামী এক বছরের জন্য তা অব্যাহত থাকবে।
দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রী ভি. শিবকুমার যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে, ‘রিক্যালিব্রেশন কর্মসূচিটি বাড়ানোর হয়েছে। কারণ এর মাধ্যমে ইতোমধ্যে দেশে থাকা অবৈধ কর্মীদের বৈধ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে। আমরা এই কর্মসূচির মাধ্যমে গতবছর ৭০০ মিলিয়ন রিঙ্গিত রাজস্ব আয় করেছি।’
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিয়োগকর্তারা তাদের প্রয়োজনের সীমাবদ্ধতা (কোনো পূর্বশর্ত বা কোটা) ছাড়াই ১৫টি দেশ থেকে বিদেশি কর্মী নিয়োগে অনুমতি পাবে। এছাড়া বিদেশি কর্মীদের নিরাপত্তা ও সুস্থতার বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য মালয়েশিয়ার প্রতিনিধিদলের জন্য একটি সফরের আয়োজন করা হবে।
তিনি আরও জানান, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ম্যানপাওয়ার রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রামের (এমআরপি) জন্য বিশেষভাবে অবৈধ অভিবাসীদের রিক্যালিব্রেশন কর্মসূচি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বৈঠকে। এমআরপি হলো দেশের নিরাপত্তার বিষয়টি উপেক্ষা না করে কর্মী নিয়োগের শর্তগুলো আরও সহজ করা।
মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, নতুন সিদ্ধান্ত দ্রুতই কার্যকর হবে এবং এতে মালয়েশিয়ায় বিদেশি গৃহকর্মীরাও অন্তর্ভুক্ত হবেন। তিনি বলেন, যে সকল গৃহকর্মী তাদের ভিসা শেষেও মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন, তাদের নিয়োগকর্তাদের ফি দিতে হবে। এরপর আমরা এসব গৃহকর্মীদের কাজের পারমিট বাড়িয়ে দেব।