বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ম্যাচ মানেই নিত্যনতুন অদ্ভুত সব ঘটনা। মঙ্গলবার মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে আরও একবার দেখা গেল তেমন কিছু। রংপুরের দেওয়া ১৫৯ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নামে বরিশাল। প্রথম বল মাঠে গড়ানোর আগেই শুরু হয়ে যায় ঝামেলা। আরও একবার আগ্রাসী ভূমিকায় দেখা যায় বরিশালের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে।
প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং শেষ করে বোলিংয়ের জন্য প্রস্তুত রংপুর রাইডার্স। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেও গেছেন বরিশালের দুই উদ্বোধনী ব্যাটার এনামুল হক বিজয় এবং চতুরঙ্গ ডি সিলভা। এমন সময় মাঠের বাইরে থেকে সতীর্থদের কিছু একটা ইশারা করতে দেখা যায় সাকিবকে। শুরুতে ইশারায় ব্যাপারটা আটকে থাকলেও ধীরে ধীরে তা ঝামেলায় রূপ নিতে থাকে।
এই ঝামেলার এক পর্যায়ে স্যান্ডেল পরেই মাঠে নেমে যান সাকিব। এসময় আম্পায়ারদের সঙ্গে কিছু উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করতে দেখা যায় টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ককে। তবে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এরপর জানা যায় মূল ঘটনা।
মূলত প্রথম ওভার শুরুর আগে বোলিংয়ে ছিলেন রাকিবুল হাসান। স্ট্রাইক প্রান্তে ব্যাট করতে আসেন বরিশালের ওপেনার চতুরঙ্গ ডি সিলভা। কিন্তু তাকে দেখে মেহেদী হাসানের হাতে বল তুলে দেন রংপুরের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। তাই সাকিবও চাচ্ছিলেন চতুরঙ্গের বদলে এনামুল হক বিজয়কে স্ট্রাইক প্রান্তে আনতে। কিন্তু আম্পায়ার সেটার অনুমতি দেননি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই ঝামেলার সূত্রপাত।
বরিশাল ম্যানেজার সাজ্জাদ আহমেদ শিপন এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী কোন বোলার বল করবেন তা ঠিক হওয়ার পর ব্যাটসম্যানরা কে স্ট্রাইক নেবেন তা ঠিক হয়। এক্ষেত্রে শেখ মেহেদীকে বল করতে আসতে দেখে চতুরঙ্গ ডি সিলভার বদলে এনামুল হক বিজয়কে স্ট্রাইকে চাচ্ছিলেন সাকিব। কিন্তু আম্পায়ার সেটার অনুমতি দিতে রাজি হচ্ছিলেন না, এ নিয়ে কথা বলতে মাঠে প্রবেশ করেন সাকিব।’
বিতর্ক এখানেই থেমে থাকেনি। ১৫ রানে ব্যাট করতে থাকা ওপেনার এনামুল বিজয়কে আম্পায়ার এলবি দিলে রিভিউ নেন তিনি। রিভিউতেও সিদ্ধান্তের কোনো পরিবর্তন না হলে মাঠেই হতাশা প্রকাশ করতে দেখা যায় তাকে। মাঠের বাইরে পৌঁছেই ব্যাট উঁচিয়ে সজোরে আঘাত করে সেই হতাশার বহিঃপ্রকাশ ঘটান তিনি।