নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলের পরাজিত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জাইর বোলসোনারোর উগ্র সমর্থকরা দেশটির পার্লামেন্ট ভবন, প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ এবং সুপ্রিমকোর্টে হামলা চালিয়েছেন।
রোববার (৮ জানুয়ারি) দেশটির সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট ও কট্টর ডানপন্থি নেতা জাইর বোলসোনারোর সমর্থকরা এ হামলা করেন।
এ ঘটনায় দাঙ্গাকারীদের শাস্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা।
তিনি দেশটির সাবেক জাইর বোলসোনারোর সমর্থকদের এ কর্মকাণ্ডের পরিত্রাণ ঘোষণা দিয়েছেন।
ক্ষমতার লড়াই ঘিরে রোববার যেন বিক্ষোভের আগুনে বিস্ফোরিত হয় ব্রাজিল। আর এতেই সাবেক প্রেসিডেন্ট বোলসোনারোর সমর্থকরা হামলা চালায় দেশটির কংগ্রেস, প্রেসিডেন্ট প্যালেস ও সুপ্রিমকোর্টে।
চরম ডানপন্থি এসব সমর্থক রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে একের পর এক জায়গায় হামলা চালায়। বিরোধী দলের এ হামলার তীব্র সমালোচনা করে একে ‘ফ্যাসিস্ট’ হামলা বলে আখ্যা দিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা।
রোববার ব্রাজিলে হামলার ঘটনা ফের ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবন ক্যাপিটলে হামলার কথাই মনে করিয়ে দিল।
যুক্তরাষ্ট্রে যেমন ট্রাম্প সমর্থকরা হামলা চালিয়েছিলেন, তেমনই রোববার সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারোর সমর্থকরাও সবুজ-হলুদ পতাকা গায়ে জড়িয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে একে একে কংগ্রেস, সুপ্রিমকোর্ট থেকে শুরু করে প্রেসিডেন্ট প্যালেসে ভাঙচুর চালান তারা।
অবশ্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা সংঘর্ষের পর রোববার সন্ধ্যায় রাজধানী ব্রাসিলিয়ার গুরুত্বপূর্ণ এসব ভবনের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পায় পুলিশ।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা রোববার বন্যা বিধ্বস্ত আরারাকোয়ারা শহরে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। সেখানে থাকাবস্থায় রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় হামলার খবর পান তিনি। এর পর সেখান থেকেই তিনি ডিক্রি জারি করেন।
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে সরকারকে বিশেষ ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছে। পরে রাজধানী শহরে পৌঁছে প্রেসিডেন্ট লুলা নিজেই সুপ্রিমকোর্ট ভবনে গিয়ে ক্ষতি পরিদর্শন করেন।