নবম আসর শুরুর দুই দিন আগে সাকিব আল হাসান বলেছিলেন, বিপিএলের প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব পেলে সর্বোচ্চ দুই মাসের মধ্যে এর চেহারাই পাল্টে দেবেন তিনি। এই কথার জবাবে শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান শেখ সোহেল বলেন, সাকিব আগামী বছরই দায়িত্ব নিক। শেখ সোহেলের সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিকও।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগও (ডিপিএল) বিপিএলের চেয়ে ভালো, বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের এই কথার সূত্র ধরেই মল্লিক বলেন, ‘আমি তো দেখি সাকিব প্রিমিয়ার ডিভিশনের অনেক খেলা মিস দেয়। কিন্তু বিপিএল তো কখনো মিস দেয় না। বলছে যে প্রিমিয়ার ডিভিশনের থেকে বিপিএল খারাপ। কিন্তু বিপিএলের কোনো আসরের খেলা তো বাদ দেয়নি। এটি আসলে কোনো তর্ক না। ও তো আমাদেরই লোক।’,
সংবাদ সম্মেলন শেষ করে উঠে যেতে যেতে ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলছিলেন, ‘যত কথা হবে, তত প্রচার। ধরুন, সাকিব যদি বিপিএল নিয়ে এত কথা না বলত, তাহলে কি এত প্রচারণা হতো? ইতিবাচক-নেতিবাচক, যেকোনো আলোচনাই ভালো।’ হালকা চালে বললেও তাঁর এই বক্তব্যের গভীর একটি অর্থও আছে। সেটি হলো, বিপিএলের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে এবং এটি ঠিকভাবে আয়োজনে ক্রিকেট প্রশাসকদের সদিচ্ছার অভাবের কথা বলেও পার পেয়ে যাচ্ছেন সাকিব আল হাসান।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) অন্তত তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থায় যাচ্ছে না। যদিও অতীতে অনেক ক্রিকেটারকেই প্রকাশ্যে বোর্ডবিরোধী বক্তব্য দিয়ে আচরণবিধি ভঙ্গের শাস্তি পেতে হয়েছে। নানা সময়ে সাকিবের বিরুদ্ধেও খড়গহস্ত হয়েছে দেশের সর্বোচ্চ ক্রিকেট প্রশাসন। কিন্তু এবার ব্যতিক্রম। বিসিবি যেন ঘটনাটি একরকম চেপেই গেল।