দুপক্ষের সম্মতিতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়েছেন বিশ্বকাপ চলাকালীন সময়ে। এরপর বিশ্বকাপের শেষ দিক থেকে রোনালদোকে পাওয়ার চেষ্টা করতে থাকে সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসের। শুরুর দিকে রাজি না হলেও মরুর ক্লাবটির বিশাল অঙ্কের প্রস্তাব শেষমেষ আর ফেরাতে পারেননি পর্তুগিজ তারকা। ইউরোপ ছেড়ে সৌদির ক্লাবে যোগ দেন রোনালদো।
ইউরোপের কোনো দল যে রোনালদোর ব্যাপারে আগ্রহ দেখায়নি, এ তথ্যটা অবশ্য পুরোপুরি সত্য নয়। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব
নিউক্যাসেলের আগ্রহ ছিল সিআরসেভেনের প্রতি। কিন্তু ইউরোপ সেরার লিগ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা না পাওয়ায় সে দলে যাননি পর্তুগিজ তারকা।
তবে এতে চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার দরজা পুরোপুরি বন্ধ হয়নি টুর্নামেন্টটির ইতিহাসের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়ের। নিউক্যাসেল ইউনাইটেড যদি চ্যাম্পিয়নস লিগে কোয়ালিফাই করে তাহলে ইউরোপসেরার লিগে খেলার সুযোগ থাকবে রোনালদোর। সেটা কীভাবে সম্ভব? উত্তর দিয়েছে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা।
মার্কার প্রতিবেদন অনুযায়ী, সৌদির ক্লাব আল নাসেরের সঙ্গে রোনালদোর চুক্তিতে শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। দলে যোগদানের শর্ততে উল্লেখ ছিল, নিউক্যাসেল যদি চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার সুযোগ পায় তবে, রোনালদোকে ধারে চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলার সুযোগ দেবে সৌদির ক্লাবটি।
ধারণা করা হচ্ছে, চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলতে রোনালদোর এমন দৃঢ় ইচ্ছার কারণ টুর্নামেন্টে তাঁর গড়া অসংখ্য রেকর্ড বাঁচানো। এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোল সংগ্রাহক তিনি। করেছেন ১৪০টি গোল। তবে দ্বিতীয় স্থানে থাকা মেসি অবশ্য খুব বেশি দূরে নন। ১২৯ গোল করে আছেন রোনালদোর থেকে মাত্র ১১ গোল পিছিয়ে। এ ছাড়া তার ক্লাব পিএসজিও নিয়মিতই খেলছে চ্যাম্পিয়নস লিগে। তাই টুর্নামেন্টটিতে নিজের রেকর্ড বাঁচাতে বেশ মরিয়া রোনালদো।
১৯ বছর আগে শেষবার চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলা নিউক্যাসেল ইউনাইটেডের সামনে অবশ্য এবার খুব বড়সড় সুযোগ থাকছে চ্যাম্পিয়নস লিগে জায়গা করে নেওয়ার। গতবারেও লিগ টেবিলের প্রায় তলানিতে থাকা দলটি এবার লিগ পর্যায়ের মাঝামাঝি সময়েও আছে টেবিলের তিন নম্বরে। ১৭ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট এখন ৩৪। নিউক্যাসেলের উপরে আছে শুধু গতবারের চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি ও আর্সেনাল। দলটির সামনে টুর্নামেন্টে আরও ম্যাচ আছে ২১টি। এই ২১ ম্যাচে লড়াই করে কোনোমতে সেরা চারে থাকতে পারলেই মিলবে ইউরোপসেরার টিকিট।