সান্তোসে আগেও এসেছেন পেলে। এসেছেন বললে ভুল হবে, সান্তোসকে দুনিয়াজোড়া খ্যাতি এনে দিয়েছেন তো এই পেলেই। সেই পেলে আজও যাবেন সান্তোসে, এস্তাদিও আরবান কালদেইরাতে, সমর্থকরা আদর করে যাকে ডাকেন ভিলা বেলরিমো বলে। তবে আগের সব বারের সঙ্গে আজকের যাত্রার পার্থক্যটা বিস্তর। আগের সব বার গেছেন সজ্ঞানে, খেলেছেন, দেখেছেন, বুক ভরে শ্বাস নিয়েছেন সেখানে, আর এবার যাচ্ছেন কফিনে চড়ে, থাকবেন শেষবারের মতো ভক্ত-সমর্থকদের ভালোবাসা জানানোর অপেক্ষায়।
দীর্ঘ অসুস্থতার পর গত বৃহস্পতিবার ৮২ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ‘ফুটবলের রাজা’ পেলে। আজ সোমবার স্থানীয় সময় ভোরবেলায় অ্যালবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতাল থেকে তার দেহ নিয়ে যাওয়া হবে সান্তোসের ভিলা বেলমিরো স্টেডিয়ামে।
ভিলা বেলমিরোয় সকাল দশটা থেকে শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন সাধারণ মানুষ। প্রবেশ করতে পারবেন ২ ও ৩ নম্বর গেট দিয়ে। শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে ৭ ও ৮ নম্বর গেট দিয়ে বেরোতে হবে সবাইকে। আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল দশটা পেলের দেহ রাখা থাকবে এখানেই। এরপরই শেষ যাত্রা শুরু হবে সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ফুটবলারের।
শেষ যাত্রায় সান্তোসের বিভিন্ন রাস্তায় নিয়ে যাওয়া হবে তাকে। পৈতৃক বাড়ির সামনে দিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে তাকে। শেখানে অশীতিপর পেলের শতবর্ষী শয্যাশায়ী মা সেলেস্তে আরান্তেস শেষ বারের মতো ছুঁয়ে দেখবেন তাকে। তবে পেলেকে তার না চেনার সম্ভাবনা প্রবল, অ্যালজাইমার্সে আক্রান্ত সেলেস্তে যে ভুলেই গিয়েছেন অতীতের সব স্মৃতি!
সাও পাওলোর নেক্রোপোল একুমেনিকাতে তাকে সমাধিস্থ করা হবে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, ১৪ তলা ভবনের সবচেয়ে উঁচুতে অন্তিম শয্যায় শায়িত হবেন পেলে। পেলেকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো সুযোগ সর্বসাধারণকে দেওয়া হলেও শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন শুধু তার পরিবারের সদস্যরাই।
ফুটবলের রাজাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ইতোমধ্যে ব্রাজিলে পৌঁছে গিয়েছেন বিভিন্ন দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। আসবেন ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনোও। পেলেকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ব্রাজিলের তারকা নেইমারও যাবেন সাও পাওলোয়।