করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য মাস্ক ব্যবহার, সামাজিক দূরত্ব বজায়সহ স্যানিটাইজার ব্যবহার করেন প্রায় সবাই। ভয়াবহ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বিশ্বের প্রায় ৬৭ লাখ মানুষ। আর সেই ভাইরাসের তোয়াক্কা না করে নিজে নিজেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন চীনের সংগীতশিল্পী জেন ঝ্যাং। খবর সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের।
নিজ ইচ্ছায় করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে ব্যাখ্যা করেছেন ঝ্যাং। এতে বেশ সমালোচনার ঝড় উঠেছে। জেন ঝ্যাং বলেন, ‘তার এক বন্ধু করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। করোনায় আক্রান্ত হতে ওই বন্ধুকে দেখতে গিয়েছিলেন তিনি। এর পর জ্বর, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথার মতো করোনার বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয় তার শরীরে। তবে টানা একদিন ও একরাত ঘুমানোর পর এসব উপসর্গ চলে যায়। সুস্থ হওয়ার জন্য কোনো ওষুধও নিতে হয়নি তাকে। খেয়েছিলেন শুধু প্রচুর পরিমাণে পানি আর ভিটামিন সি।’
৩৮ বছর বয়সি এই সংগীতশিল্পী আরও জানান, ‘আর কিছু দিন পরই নতুন বছর। এ সময় বর্ষবরণের নানা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। নতুন বছর শুরুর আগমুহূর্তে তার একটি গানের অনুষ্ঠান আছে। সে সময় যেন করোনায় আক্রান্ত না হন, তাই আগেই আক্রান্ত হয়েছেন। ‘
চীনে এ মুহূর্তে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতালগুলোর চিকিৎসকরা। আর এ সময়ে এমন কাণ্ড ঘটানোয় সমালোচিত হয়েছেন তিনি। শেষমেশ বিতর্কের মুখে উইবোতে নিজের পোস্টটি মুছে দিয়েছেন ঝ্যাং। পরে আরেকটি পোস্ট দিয়ে ক্ষমাও চেয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি চীনের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস। তিনি বলেন, ‘চীনে করোনার ঊর্ধ্বগতির কারণে আমরা করোনার সমাপ্তির দ্বারপ্রান্তে আছি কিনা তা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেছে। ‘