ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, তাদের আশঙ্কা বেলারুশ সীমান্ত থেকে নতুন করে ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে রুশ সেনারা। আর এ আশঙ্কা থেকে ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়াচ্ছেন তারা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ইয়েভেন ইয়েনিন সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বলেছেন, বেলারুশ সীমান্তে সেনা ও অস্ত্রের মজুদ বৃদ্ধি করা হবে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সোমবার বেলারুশ সফরে যান। তিনি দেশটির প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে বৈঠক করেন। গত তিন বছরের মধ্যে এবারই প্রথমবার বেলারুশ গেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
লুকাশেঙ্কো-পুতিনের বৈঠকের পর শঙ্কা দেখা দিয়েছে আবারও বেলারুশ সীমান্ত ব্যবহার করে ইউক্রেনে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করতে পারে রুশ সেনারা। এরপরই সীমান্তে শক্তিবৃদ্ধি শুরু করেছে কিয়েভ।
শঙ্কা আরও বেড়েছে যখন রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, বেলারুশের সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া দেবে তাদের সেনারা।
ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ইয়েভেন ইয়েনিন জানিয়েছেন, পুতিনের বেলারুশ সফরে যাওয়া এবং রাশিয়া-বেলারুশের যৌথ সামরিক মহড়ার কথা শোনার পর রাশিয়া-বেলারুশের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সীমা জোরদার করছেন তারা।
এদিকে বেলারুশ যুদ্ধে এখনো সরাসরি যোগ না দিলেও তারা রুশ সেনাদের নিজেদের সীমান্তে অবস্থান করতে দিয়েছে এবং সেখান থেকে ইউক্রেনের ভেতর হামলা চালানোর সুযোগ করে দিয়েছে। শোনা যাচ্ছে, এখন ইউক্রেনে কথিত ‘বিশেষ সামরিক অভিযানে’ বেলারুশকে আরও বেশি সম্পৃক্ত হতে চাপ দিচ্ছে রাশিয়া।
তবে বেলারুশকে রাশিয়া কোনো ধরনের চাপ দিচ্ছে না বলে দাবি করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট দপ্তরের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ। তিনি এ খবরকে ‘বানানো, ভিত্তিহীন মিথ্যা গল্প’ বলে অভিহিত করেছেন।