নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বিষাক্ত মদপান শেষে বমি করতে করতে এ পর্যন্ত ৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য বিহারের সরন জেলার চাপরার দুই গ্রামে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
ভারতের সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিহারের সরন এলাকায় ২০১৬ সালের পর থেকে এ মদ বিক্রি ও পান নিষিদ্ধ। তারপরও মদ বিক্রি ও পান চলছে। গত মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) বিহারের রাজধানী পাটনার সরন জেলায় মদপানের পর বমি করতে শুরু করেন মাদকসেবীরা। এরপরই অবস্থা বেগতিক হলে অনেকে হাসপাতালে ভর্তির উদ্যোগ নেয়া হয়। অনেকে হাসপাতালে নেতয়ার পথে মারা যান এবং অন্যরা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
১৪ ডিসেম্বর পুলিশের বরাতে সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ময়নাতদন্তে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে বিষাক্ত মদকেই মৃত্যুর কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। একই অভিযোগ করেছে মৃতদের পরিবারও।
রাজ্যের সিনিয়র কর্মকর্তা সন্তোষ কুমার বলেন, বিষাক্ত মদপানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অনেকে অন্ধ হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, ঐ এলাকায় মদের দোকানের ওপর অভিযান চালানো হয়েছে।
সন্তোষ বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত ডজন খানেক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছি এবং বেশ কয়েকজনকে আটক করেছি।
এসব মৃত্যুর জন্য নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন বিহার সরকারকে অভিযুক্ত করেছেন স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক জনক সিং।