ফ্রান্সের কাছে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পরাজয়ের পর মরক্কোর কিছু সমর্থক রীতিমতো সহিংসতায় জড়িয়ে পড়েছেন। ইউরোপের দেশ ফ্রান্স ও বেলজিয়ামে ফরাসি সমর্থকদের সাথে মরক্কান সমর্থদের সংঘাত হয়েছে। ফ্রান্সের মন্টপেলিয়ারের রাস্তায় মরক্কোর সমর্থকদের ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় গাড়ি চাপায় এক কিশোরের মর্মান্তিক প্রাণহানি ঘটেছে।
গাড়িচাপায় নিহত কিশোরও মরক্কোর সমর্থক। ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইল বলছে, বুধবার রাতে কাতার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ফ্রান্সের কাছে ২-০ গোলের ব্যবধানে হেরে যাওয়ার পর ফ্রান্সের বিভিন্ন শহরে সহিংসতায় জড়িয়েছে মরক্কোর সমর্থকরা। এ সময় ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রুয়ে দে লা মোসনে ভাঙচুরও চালিয়েছে তারা।
রুয়ে দে লা মোসনে শহরের সড়কে একটি গাড়ি থেকে মরক্কান সমর্থকরা ফরাসি পতাকা ছিঁড়ে ফেলার সময় দুর্ঘটনা ঘটেছে। গাড়িটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টার সময় ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরকে চাপা দেয়। পরে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে মারা যায় সে। ওই কিশোরও মরক্কান সমর্থক।
বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ফ্রান্স এবং মরক্কোর ম্যাচ ঘিরে দুই দেশের সমর্থকদের মাঝে সংঘাতের আশঙ্কায় ফ্রান্স ও বেলজিয়ামের বিভিন্ন শহরে দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়। মরক্কো হেরে যাওয়ার পর দেশটির ফুটবল ভক্তদের সংঘাত-সহিংসতা মোকাবিলায় ব্যাপক লড়াই করতে হচ্ছে দুই দেশের পুলিশকে।
ডেইলি মেইল বলছে, ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলের শহর মন্টপেলিয়া এবং নিসে উভয় দেশের ভক্তদের রাস্তায় মারামারি করতে দেখা গেছে। ওই সময় পরস্পরের দিকে আতশবাজি নিক্ষেপ এবং রাস্তায় আবর্জনা ফেলার বিনে আগুন দিতে দেখা যায় মরক্কান সমর্থকদের। পরে পুলিশ সহিংসতা দমনে লাঠিসোঁটা ও জলকামান ব্যবহার করে।
আতশবাজি নিক্ষেপ ও রাস্তায় আবর্জনা ফেলার বিনে আগুন দিতে দেখা যায় মরক্কান ভক্তদের
এদিকে, বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসের দক্ষিণের একটি স্টেশনে ১০০ জনের মতো মরক্কান ভক্ত দাঙ্গা পুলিশের সদস্যদের লক্ষ্য করে পাথর ও আতশবাজি নিক্ষেপ করেছে। পরে পুলিশের সদস্যরা টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে মরক্কান সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।