দোহা নাকি ক্যাসাব্লাঙ্কা

কাতারে মরক্কোর প্রবাসীরা কাজ করেন। সংখ্যাটা বেশ বড়ই। বিশ্বকাপের শুরু থেকেই মরক্কো চমক দেখিয়ে আসছে। ফলে মরক্কোর সমর্থকের সংখ্যা কাতারে দিনকে দিন বাড়ছেই।

আজ বুধবার বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ১টায় আল বায়াত স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে মরক্কো। সেমিফাইনালে ওঠার পর থেকে কাতারে মরক্কোর নাগরিকদের সংখ্যা বাড়ছে অনেক। দলে দলে সবাই কাসাব্লাঙ্কা থেকে দোহা এসেছেন দলকে সমর্থন দিতে।

কাতারের নিয়ম ছিল আগে টিকিট ছাড়া কেউ হায়া কার্ড করতে পারবে না। গ্রুপ পর্বের পর সেই নিয়ম তুলে দিয়েছে। ম্যাচ টিকিট না থাকলেও হায়া কার্ড হচ্ছে এবং দোহা আসা যাচ্ছে। ফলে অনেকের টিকিট না থাকলেও দোহায় এসেছেন মরক্কোর হয়ে রাস্তায় গলা ফাটাতে।

দোহার সড়কগুলো যেন ক্যাসাব্লাঙ্কায় রুপ নিয়েছে। দিন রাত তারা গান-নাচে মাতিয়ে রাখছে। অন্য দেশের নাগরিকরাও এটা দারুণ উপভোগ করছেন। দোহার অন্যতম বাণিজ্যিক এলাকা সুকুওয়াকিফ। গত কয়েকদিন সেই সুকুওয়াকিফ মরক্কোর দখলে। সন্ধ্যা হলেই তারা গোল হয়ে নাচছেন গাইছেন।

মরক্কোর সঙ্গে পাল্লা দেন মাঝে মধ্যে আর্জেন্টাইনরা। অনেক সময় আর্জেন্টাইন ও মরক্কোর নাগরিকরা মিলে কোরাস তুলেন। বিশ্বকাপের বর্ণিলতা এনে দিয়েছে আরো বেশি করে মরক্কোর এই সাফল্য। রাস্তা সড়কগুলো যেমন আবাসিক হোটেলেও মরক্কোর আধিক্য। বলতে গেলে দোহা এখন মরক্কোময়।