মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস ভাগ্য গিয়েছিল লিটন দাসের পক্ষে। নেতৃত্বের অভিষেকে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতে সময় নেননি তিনি। সাকিব আল হাসানের ঘূর্ণি ও এবাদত হোসনের দারুণ বোলিংয়ে ১৮৬ রানে অল আউট হয়েছে ভারত। ৫ উইকেট নিয়েছেন সাকিব এবং চারটি এবাদতের।
টস ভাগ্য পক্ষে না গেলেও রহিত শর্মা ও শেখর ধাওয়ান মিলে শুরুটা দেখে শুনেই করেন। শুরুর দিকে পেসারদের দিয়ে শুরু করলেও ৫ ওভারের আগেই মেহেদি হাসান মিরাজকে নিয়ে বোলিংয়ে নিয়ে আসেন লিটন। স্পিনের বিপক্ষে আক্রমণাত্মক খেলতে গিয়ে ফাঁদে পড়েন ধাওয়ান।
মিরাজকে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে বোল্ড হন এই ওপেনার। ১৭ বলে ৭ রান করে এই ওপেনার ফিরলে রোহিতকে সঙ্গ দিতে ক্রিজে আসেন বিরাট কোহলি। তাদের ব্যাটেই প্রথম পাওয়ার প্লে শেষ করে ভারত। এরপর বোলিংয়ে এসে দারুন এক ডেলিভারিতে রোহিতকে বোল্ড করেন সাকিব। ব্যাট ও প্যাডের মাঝে গ্যাপ দিয়ে বোল্ড হন ভারতীয় অধিনায়ক।
৩১ বলে ২৭ রান করে রোহিত ফেরার দুই বল পরেই সাকিবের ফ্লাইটেড ডিলেভারিতে অসাধারণ এক ক্যাচে বিরাটকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখতে হয়। এক্সট্রা কভার অঞ্চলে উড়ন্ত এক ক্যাচ নিয়ে ৯ রানে কোহলিকে সাজঘরে ফেরান লিটন।
৪৯ রানে তিন উইকেট পড়ার পর হাল ধরেন লোকেশ রাহুল এবং শ্রেয়াস আইয়ার। দলের রান আস্তে আস্তে বাড়াতে থাকেন দুজন। কিন্তু এই দুজনের জুটি বেশীক্ষণ স্থায়ী হতে দেননি এবাদত হোসেন। ২০তম ওভারের শেষ বলে ৩৯ বলে ২৪ রান করা আইয়ারকে ফেরান তিনি। তাতে রাহুল-আইয়ারের ৪৩ রানের জুটি ভাঙে।
এবাদতের বলে লেগ সাইডে পুল করতে গিয়ে বল উপরে তুলে দেন আইয়ার। উইকেটের পেছন থেকে ক্যাচ লুফে নেন মুশফিকুর রহিম। ৯২ রানে ৪ উইকেট গেলেও ওয়াশিংটন সুন্দর ও কেএল রাহুল মিলে দলের হাল ধরেন। দুজন মিলে দলকে ১০০’র ওপর নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে জুটি গড়েন ৬০ রানের।
তবে দলীয় ১৫২ রানে ওয়াশিংটনকে বিদায় করে দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেন সাকিব। ১৫২ থেকে ১৫৬ রানের মাঝে আরও ৩ ব্যাটারকে হারিয়ে বসে ভারত। এবাদত একটি নিলেও বাকি দুটি উইকেট ছিল সাকিবের। ৫ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ারের চতুর্থবারের মত পঞ্চম উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি।