যুক্তরাষ্ট্রে একটি ছোট প্লেন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। স্থানীয় সময় রোববার (২৭ নভেম্বর) প্লেনটি একটি উচ্চ-ভোল্টেজ সম্পন্ন বৈদ্যুতিক লাইনে বিধ্বস্ত হয়। এতে করে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির আশপাশের এলাকায় ব্যাপক বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডি.সি. থেকে প্রায় ৩০ মাইল উত্তরে একটি ছোট প্লেন উচ্চ-ভোল্টেজ সম্পন্ন বৈদ্যুতিক লাইনে বিধ্বস্ত হয়। এর ফলে ব্যাপক বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটে। উদ্ধার পরিষেবাগুলো রাত পর্যন্ত কাজ করেও প্লেনটিতে থাকা দুই ব্যক্তিকে উদ্ধার করতে পারেনি। ওই দুই আরোহী এখনও তারের মধ্যে আটকে আছে।
রয়টার্স বলছে, রোববার স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৫টায় ছোট ওই প্লেনটি বিধ্বস্ত হয়। মন্টগোমারি কাউন্টি ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ সার্ভিস থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, মেরিল্যান্ডের মন্টগোমারি ভিলেজে কুয়াশা এবং ভেজা আবহাওয়ায় এটি মাটি থেকে প্রায় ১০০ ফুট ওপরে বিদ্যুতের লাইনে আটকে যায়।
প্লেন দুর্ঘটনার ফলে ব্যাপক বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটে। ওয়াশিংটন-অঞ্চলে ইউটিলিটি সেবাদানকারী কোম্পানি পেপকোর তথ্য অনুযায়ী, প্লেন দুর্ঘটনার কারণে ১ লাখ ২০ হাজারেরও বেশি গ্রাহক বিদ্যুৎ বিভ্রাটের মুখে পড়েছেন। এসময় রাস্তাও বন্ধ ছিল এবং ওই এলাকার অনেক ট্রাফিক লাইট নিভে যায়।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাকবলিত প্লেনের ভেতরে দুজন আরোহী রয়েছেন। দুর্ঘটনার পর তারা বেঁচে থাকলেও সেখানে আটকা পড়েছেন।
মন্টগোমারি কাউন্টি ফায়ার চিফ স্কট গোল্ডস্টেইন বলেছেন, উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা নিয়মিত বিরতিতে তাদের সেল ফোনে কল করে বাসিন্দাদের সাথে যোগাযোগ করছেন। তিনি প্লেনের যাত্রীদের অবস্থা বর্ণনা করতে অস্বীকৃতি জানান। তবে তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের সাথে যোগাযোগ করেছি।’
গোল্ডস্টেইন বলেন, যাত্রীদের সরিয়ে নেওয়ার আগে প্লেনটিকে বৈদ্যুতিক টাওয়ারে সুরক্ষিত করতে হবে। তিনি বলেন, স্থানীয় কোম্পানির দেওয়া একটি ‘বেশ বড় ক্রেন’ ঘটনাস্থলে রয়েছে এবং বৈদ্যুতিক টাওয়ারে উঠতে বিশেষজ্ঞরা সেখানে অবস্থান করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) এর তথ্য অনুযায়ী, মুনি এম২০জে মডেলের ছোট এই প্লেনটি নিউইয়র্কের ওয়েস্টচেস্টার থেকে উড্ডয়ন করে এবং দুর্ঘটনাস্থলের কাছাকাছি মন্টগোমারি এয়ারপার্কে এটির অবতরণ করার কথা ছিল।