দিন কয়েকের মধ্যেই ঢাকায় পা রাখার কথা ভারতীয় দলের। তবে দেশে ভারত সিরিজের কোনো রেশই যেন দেখা যাচ্ছেনা। সামনে বাংলাদেশের এত বড় সিরিজ সেটি যেন মানুষ একপ্রকার ভুলেই গিয়েছে। ফুটবল বিশ্বকাপ চলাকালীন অবশ্য এরকম হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে ফুটবলে যতই বুদ হয়ে থাকুক না কেন সবাই, দিনশেষে বাঙালির পরিচয় এই ক্রিকেটেই। তাই দেশের মাটিতে দলকে ভারতের বিপক্ষে নিশ্চিতভাবেই জিততে দেখতে চাইবে সবাই।
ভারতের বিপক্ষে ৭ ব্যাটসম্যান এবং ৪ বোলার কম্বিনেশনে খেলতে নামার কথা বাংলাদেশের। পঞ্চম বোলার সাকিব ব্যাটিং এবং বোলিংয়ে সমান পারদর্শী। ভারতের বিপক্ষে কোনোভাবেই এক বোলার কম খেলানোর ঝুঁকি নিতে চাইবে না টিম ম্যানেজমেন্ট। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চার জেনুইন বোলার না খেলিয়ে মোসাদ্দেককে খেলিয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্ট।
যার খেসারত ম্যাচ হেরে দিতে হয়েছে টাইগারদের। এছাড়া বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচেও একজন বোলার কম নিয়ে খেলেছে বাংলাদেশ। ভারতের যে রকমের ব্যাটিং গভীরতা তাতে চির ধরানোর জন্য অধিনায়কের হাতে যথেষ্ট বোলিং বিকল্প থাকতেই হবে। সেক্ষেত্রে জেনুইন চারজন বোলার খেলানোর কোনো বিকল্প নেই। ওপেনিংয়ে তামিম ইকবাল এবং লিটন কুমার দাসের অটো চয়েজ। ওয়ান ডাউনে বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার সাকিব খেলবেন। টু ডাউনে খেলবেন দলের নতুন ডায়নামো আফিফ হোসেন ধ্রুব। পরবর্তীতে যথাক্রমে মুশফিক, ইয়াসির আলী রাব্বি এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ খেলবেন।
বোলিং এ থাকবেন দলের পেস আক্রমণের নতুন নেতা তাসকিন আহমেদ। তাসকিনকে সঙ্গ দিবেন হাসান মাহমুদ এবং মুস্তাফিজুর রহমান। বিশ্বকাপে তাসকিনের যে পারফরম্যান্স তাতে তাকে নিয়ে কাটাছেঁড়ার খুব একটা সুযোগ নেই। বর্তমান বিশ্বের সেরা কয়েকটি বোলারের মধ্যে রাখতেই হবে তার নাম। তরুণ হাসান মাহমুদও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বেশ ভালো পারফর্ম করেছেন। ইনজুরিতে না পড়লে তিনি কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন বিশ্বকাপের এই পারফরমেন্স তারই প্রমাণ। ওয়ানডে ম্যাচে নিজেকে শতভাগ ফিট রেখে বোলিং করাটাই হবে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
নিজেকে খুঁজতে থাকা মুস্তাফিজুর রহমানও যেন অবশেষে বিশ্বকাপে নিজেকে খুঁজতে পেরেছেন। আসন্ন সিরিজে নিশ্চিতভাবেই ২০১৫ সালের স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে চাইবেন কাটার মাস্টার। তিন পেসারের সাথে বাহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদের থাকার কথা মূল একাদশে। আরেক স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজের তুলনায় বোলিংয়ে বেশ বৈচিত্র্য রয়েছে মাসুমের।
যদিও মিরাজ খেললে দলের ব্যাটিং গভীরতা কিছুটা বৃদ্ধি পেত। তবে ভারতের বিপক্ষে নিজের সেরা বোলারটাকে মাঠে নামানো উচিত টাইগারদের। সে ক্ষেত্রে নাসুমের সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনাটুকুই বেশি।
(সম্ভাব্য)বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, লিটন কুমার দাস, সাকিব আল হাসান, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মুশফিকুর রহিম, ইয়াসির আলী রাব্বি, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, মোস্তাফিজুর রহমান, নাসুম আহমেদ