ভারতে সহকর্মীর চালানো এলোপাথাড়ি গুলিতে দেশটির আধাসামরিক বাহিনীর দুই জওয়ান নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুই জন। শনিবার (২৬ নভেম্বর) ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটের পোরবন্দরের কাছে একটি ক্যাম্পে এই ঘটনা ঘটে।
গুজরাটে আগামী মাসের বিধানসভা নির্বাচনের আগে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য সেখানে অবস্থান করছিলেন আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরা। রোববার (২৭ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, আগামী মাসে গুজরাতে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তেমনই একটি ক্যাম্পে শনিবার রাতে এলোপাথাড়ি গুলির ঘটনায় সহকর্মীর হাতে দুই জওয়ান প্রাণ হারান।
পুলিশ সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম বলছে, যখন গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে তখন জওয়ানরা কেউ কর্তব্যরত ছিলেন না। কোনও বিষয়কে কেন্দ্র করে তাদের কয়েক জনের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। আর সেই থেকেই গুলির ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, পোরবন্দরের কাছে ভোটের দায়িত্ব পালনের জন্য মণিপুরের ইন্ডিয়া রিজার্ভ ব্যাটেলিয়ন থেকে আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ানদের নিয়োগ করা হয়েছিল। ঘাতক জওয়ানের নাম কনস্টেবল এস ইনাউচা সিং। নিজের কাছে থাকা একে-৪৭ রাইফেল দিয়ে তিনি সহকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করেন। গুলিতে নিহত দুই জওয়ান হলেন- থোইবা সিং এবং জিতেন্দ্র সিং।
গুলিতে আরও দুই জওয়ান আহত হয়েছেন। তারা হলেন- কনস্টেবল চোরাজিৎ এবং রোহিকানা। প্রত্যেকেই মণিপুরের বাসিন্দা। আহত দুইজনের এক জনের পেটে এবং অন্য জনের পায়ে গুলি লেগেছে। প্রাথমিক ভাবে তাদের উদ্ধার করে পোরবন্দর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসা পরিষেবার জন্য জামনগরের একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাদের।
পোরবন্দরের কালেক্টর ও ওই জেলার নির্বাচনী কর্মকর্তা এএম শর্মা জানিয়েছেন, ঘটনার সময় ওই জওয়ানেরা কর্তব্যরত ছিলেন না। নিজেদের মধ্যে বাক-বিতণ্ডার মধ্যেই আচমকা এক জওয়ানের হাতে থাকা রাইফেল থেকে গুলি চালানো হয়। নিহত ও আহত জওয়ানেরা প্রত্যেকে মনিপুরের ইন্ডিয়া রিজার্ভ ব্যাটেলিয়নের (আইআরবি) সদস্য।
তিনি আরও বলেন, গুজরাটে নির্বাচনের আগে সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্সের (সিএআরএফ) পাশাপাশি আইআরবির জওয়ানও মোতায়েন করা হয়েছে। কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পোরবন্দরে প্রথম পর্যায়ের ভোট অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১ ডিসেম্বর। পরবর্তী পর্যায়ের ভোট হবে ৫ ডিসেম্বর। ভোটের ফলাফল জানা যাবে ডিসেম্বরের ৮ তারিখ।