বিশ্বকাপ ফুটবলের ২২তম আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে সার্বিয়ার বিপক্ষে সত্যিকার অর্থেই ছন্দময় ফুটবল খেলেছে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। তুলে নিয়েছে দুর্দান্ত জয়। জোড়া গোল করে এই জয়ের কারিগর ছিলেন ফরোয়ার্ড রিচার্লিসন।
বাইসাইকেল কিকে করা তার দ্বিতীয় গোলটি এতটাই অবিশ্বাস্য, মোহনীয় ও দর্শনীয় ছিল যে, বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা গোলটিকে যথাযথ মর্যাদা দিতেও কার্পণ্য করেনি। এরই মধ্যে রিচার্লিসনের দ্বিতীয় গোলটির জায়গা হয়েছে বিশ্বকাপ ইতিহাসের সেরা গোলের জাদুঘরে! আগের ২১ আসরের সবচেয়ে দর্শনীয় গোলগুলোও রাখা হয়েছে এই জাদুঘরে।
২৪ বছর বয়সী এই ফুটবলার এবারই প্রথম বিশ্বকাপ খেলছেন। সার্বিয়ার বিপক্ষেই ছিল তার বিশ্বকাপের অভিষেক ম্যাচ। আর অভিষেকেই কেড়ে নিয়েছেন সবটুকু আলো। জিতে নিয়েছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। তবে রিচার্লিসন বেশি খুশি দলকে শুভ সূচনা এনে দেওয়ায়।
ম্যাচের শুরু থেকে শেষ- প্রায় পুরোটা সময়ই ছন্দময় ফুটবল খেললেও ব্রাজিলকে গোলের দেখা পেতে অপেক্ষা করতে হয় ৬২ মিনিট পর্যন্ত। নেইমার, ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, রাফিনহা- শত চেষ্টা করেও সার্বিয়ার রক্ষণদুর্গ ভাঙতে পারেননি। তা পারছিলেন না রিচার্লিসনও। ৬২ মিনিটে রিচার্লিসনই সার্বিয়ার রক্ষণ দেয়ালভেদ করে দলকে প্রথম এগিয়ে দেন। ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের শট কোনো রকমে ঠেকিয়ে দেন সার্বিয়ার গোলরক্ষক। কিন্তু বল তিনি গ্লাভস বন্দি করতে পারেননি। বল চলে আসে রিচার্লিসনের পায়ে। তিনি আলতো টোকায় জড়িয়ে দেন জালে। হাফ ছেড়ে বাঁচেন ব্রাজিল কোচ। বিশ্বজুড়ে ব্রাজিলের কোটি কোটি সমর্থকরাও।
১১ মিনিট পর এই রিচার্লিসনই দেখান আসল জাদু। দ্বিতীয় গোলটিও সেই ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের পাস থেকেই করেন তিনি। তবে ভিনিসিয়ুসের পাসটি নিয়ন্ত্রণে নিতে গিয়ে বল একটু পেছনে চলে যায়, রিচার্লিসন মুহূর্তেই ঘুরে দর্শনীয় বাইসাইকেল কিকে বল জড়িয়ে দেন জালে। লুসাইল স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকরা এবং সারা দুনিয়া জুড়ে টিভি পর্দায় দেখা কোটি কোটি দর্শক সাক্ষী হয় নয়ন জুড়ানো এক গোলের। ম্যাচে সার্বিয়ার বক্সের ভেতরে তিনবার বল পেয়েছেন রিচার্লিসন। তার দুটিতেই তিনি গোল করেছেন।