চলতি বছর এশিয়ার শীর্ষ নারী ব্যবসায়ীদের তালিকা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ব্যবসা সাময়িকী ফোর্বস। ২০ জনের এই তালিকায় স্থান পেয়েছেন ক্রিস্টি ক্যার নামের একজন উদ্যোক্তা। ২০০৬ সালে তিনি শিশু ফর্মুলা মেকার (শিশুদের জন্য বুকের দুধের বিকল্প) ‘বাবস অস্ট্রেলিয়া’ প্রতিষ্ঠা করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, হংকং এর ক্যাথে প্যাসিফিকের সাবেক এই মার্কেটিং কর্মকর্তা ছাগলের দুধের ফর্মুলা বিকাশ ঘটান। তার মেয়ের জন্য বুকের দুধের পরবর্তী ব্যবস্থা করতে এই পদক্ষেপ নিয়েছিলেন ক্যার।
বাবস অস্ট্রেলিয়ায় বর্তমানে খুচরা বিক্রেতাদের মধ্যে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রেও কোম্পানিটির বিক্রি বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।
ক্যার বলেছেন, আমি সবসময় ভালো উদ্যোক্তা হওয়ার চেষ্টা করেছি। ছোটবেলায় আমার অনেক লেমনেড স্ট্যান্ড ছিল।
সিডনির উত্তরাঞ্চলের শহর নিউপোর্টে শিশুদের জন্য অর্গানিক খবারের ছোট ব্যবসা শুরে করেন তিনি। তারপর থেকে বাবস (শিশুদের বোঝাতে অস্ট্রেলিয়ান স্ল্যাং) অনেক দূর এগিয়েছে। সেখানেই ক্যার তিন কন্যা ও স্বামীকে নিয়ে বসবাস করছিলেন।
সিডনিভিত্তিক কোম্পানিটি অস্ট্রেলিয়ার শেয়ারবাজারে বাণিজ্য শুরু করে ২০১৭ সালে। সম্প্রতি শেষ হওয়া অর্থবছরে কোম্পানিটির আয় দ্বিগুণের বেশি হয়ে ৫৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
বিদেশি প্রযোজকদের সঙ্গে অংশীদারত্বে যুক্তরাষ্ট্র অপারেশন ফ্লাই ফর্মুলা চালু করার পরে বাবস আরও দ্রুত প্রবৃদ্ধির জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। চলতি বছরের মে মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক টুইট বার্তায় বলেন, আমর কাছে আরও সুসংবাদ রয়েছে কারণ বাবস অস্ট্রিলিয়ার ২৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন বোতল শিশুদের জন্য নিরাপদ ফর্মুলা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আসছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের অবদানের কারণে ধারণা করা হচ্ছে ২০৩০ সালের জুনের মধ্যে বাবসের আয় ৮০ শতাংশের বেশি বেড়ে ১৬২ মিলিয়ন অস্ট্রিলিয়ান ডলারে দাঁড়াবে।
মার্কিন বাজারকে বৃদ্ধির একটি নতুন স্তম্ভ হিসেবে দেখে অক্টোবরের শুরুতে বাবস আনুষ্ঠানিকভাবে মার্কিন অর্থনীতিতে স্থায়ী প্রবেশাধিকার পেতে অনুমোদন চায়। যুক্তরাষ্ট্রের ৪২ অঙ্গরাজ্যে ছয় হাজার পাঁচশ স্টোরে পণ্য পৌঁছাতে খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কাজ করছে কোম্পানিটি।
ক্যার বলেছেন, মিলিয়ন ডলারের ব্যবসার জন্য আমি স্বপ্ন দেখতাম। এখন আমি ভাবছি ভবিষতে কী করা যায়। আমরা এখন বিলিয়ন ডালারের স্বপ্ন দেখছি, যা খুব তাড়াতাড়িই সম্ভব।