সার্বিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলের জয় পেলেও ব্রাজিল শিবিরে এখন সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার ছায়া নেইমারের ইনজুরি। ম্যাচের ১১ মিনিট বাকি থাকতে ডান পায়ের গোড়ালির ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছাড়েন পিএসজি তারকা। দেখা গেছে, তার পায়ের গোড়ালি মচকে গেছে এবং পুরো গোড়ালি ফুলে গেছে।
ব্রাজিল দলের ডাক্তার রদ্রিগো লাসমার জানিয়েছেন, নেইমারের ইনজুরির প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে এখনই আগাম কিছু বলা সম্ভব নয়। তার প্রকৃত অবস্থা জানতে ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। আমাদের এখন অপেক্ষা করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। আমরা এখন এত অগ্রিম কোনো মন্তব্যও করতে পারছি না যে তিনি খেলতে পারবেন কি পারবেন না।’
মাঠ ছাড়ার পর ডাগআউটে বসে নেইমারের কান্নায় জার্সি দিয়ে মুখ ঢাকা ছবিটা দেখেই আঁতকে উঠেছে ভক্ত-সমর্থকরা। তবে কী নেইমারের বিশ্বকাপই শেষ হয়ে গেলো! ২০১৪ বিশ্বকাপ, ২০১৯ কোপা আমেরিকার কথা তো সবারই জানা। ২০১৪ বিশ্বকাপে নেইমারের কোমরের হাঁড় ভেঙে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরই বিশ্বকাপে বিশাল ছন্দপতন ঘটে ব্রাজিলের। যে কারণে জার্মানির কাছে ৭ গোল হজম করতে হয়েছিল ব্রাজিলকে।
২০১৯ সালে ডান পায়ের এই গোড়ালির ইনজুরির কারণেই কোপা আমেরিকা খেলতে পারেননি তিনি। এরপর ২০২০-২১ মৌসুপে ১০ মাস মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছিলো ব্রাজিলিয়ান তারকাকে।
সেই গোড়ালিটাই সার্বিয়ার বিপক্ষে খেলায় মচকে গেছে। অথচ, ব্রাজিলের স্বপ্ন সম্ভবের সারথি তিনি। সার্বিয়ার বিপক্ষে যে গোল দুটি হয়েছে ব্রাজিলের তার রিং মাস্টার তো ছিলেন নেইমারই। তিনি এই দলটির বড় শক্তি। নেইমার না থাকলে ব্রাজিলের পক্ষে হেক্সা মিশন সফল করা অসম্ভবই হবে।
তবে এখনই এতটা ভাবতে রাজি নন ব্রাজিল কোচ তিতে। তিনি আশাবাদী, পরের ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামার আগেই সুস্থ হয়ে যাবেন নেইমার এবং তিনি বিশ্বকাপ পুরোটাই শেষ করতে পারবেন।
সার্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে তিতে বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত যে, নেইমার খেলে যেতে পারবেন এবং পুরো বিশ্বকাপই খেলবেন।’
নেইমার নিজেও তো ভেঙে পড়েছেন। জানতে চাইলে তিতে বলেন, ‘আমি তাকে তো দুঃখিত হতে দেখিনি। এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলা করার মত সামর্থ্য এবং মানসিক শক্তি তার রয়েছে। এমনকি সে নিজেও আমাকে আস্বস্ত করেছে।’