ইন্দোনেশিয়ার পর ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো প্রসান্ত মহাসাগরীয় দীপরাষ্ট্র সলোমন দীপপুঞ্জ। মঙ্গলবার দেশটির রাজধানী হনিয়ারায় অন্তত ২০ সেকেন্ডের ঐ ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টার পরপরই ম্যালাঙ্গোর ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে ভূপৃষ্ঠের ১৫ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে হনিয়ারার বেশ কয়েকটি এলাকা। ভেঙে পড়ে বেশ কয়েকটি বাড়ি, ক্ষতিগ্রস্ত হয় একাধিক গাড়ি।
যুক্তরাষ্ট্রের জিওলজিক্যাল সার্ভের (ইউএসজিএস) বরাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আধা ঘণ্টার মধ্যে দুটি ভূকম্পন অনুভূত হয়। প্রথম ভূমিকম্পের প্রায় আধা ঘণ্টা পর উপকূল থেকে ৩১ কিলোমিটার দূরে ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে ৬ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়। প্রথম ভূমিকম্পের পরপরই দেশটির প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে অবস্থান নেয়ার আহ্বান জানানো হয়। প্রথমে সুনামি সতর্কতা জারি করা হলেও পরে তা উঠিয়ে নেয়া হয়।
দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়, ভূমিকম্পের ফলে রাজধানীর কিছু এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়। তাছাড়া কিছু ভবন ও গাড়ির সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হলেও বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।
এদিকে, সলোমন দীপপুঞ্জে ভূমিকম্পের পর পাপুয়া নিউগিনি ও ভানুয়াতুতে ৩০ সেন্টিমিটার (১২ ইঞ্চি) উচ্চতার সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়।
জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল থেকে ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় ২০ হাজার মানুষ বসবাস করেন। তাছাড়া পুরো সলোমন দীপপুঞ্জে প্রায় আট লাখ মানুষ বসবাস করেন।
ইন্দোনেশিয়ার প্রধান দ্বীপ জাভায় ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে শতাধিক নিহত ও কয়েকশ মানুষ আহত হওয়ার পর সলোমন দ্বীপপুঞ্জে আরো শক্তিশালী দুটি ভূমিকম্প হলো।