গ্রুপের দুর্বলতম দল ইরানের বিপক্ষে ইংল্যান্ড প্রভাব বিস্তার করবে, এটা অনুমেয় ছিল। তবে বড় দলের বিপক্ষে শক্তিশালী রক্ষণের ইরান গোলবন্যায় ভেসে যাবে, এটা হয়তো কেউ ভাবেনি। যদিও ইংলিশদের আক্রমণে নাস্তানাবুদ হয়ে ইরানীদের মাঠ ছাড়তে হয়েছে বড় ব্যবধানের হার নিয়ে।
কাতারের খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ইরানকে নাস্তানাবুদ করে ৬-১ গোলের লজ্জায় ভাসিয়েছে ইংল্যান্ড। গোলবন্যার ম্যাচে ইংলিশদের হয়ে স্কোরশিটে দুবার নাম তুলেছেন বুকায়ো সাকা।
এছাড়া জুডে বেলিংহাম, রহিম স্টার্লিং, মার্কাস রাশফোর্ড ও হ্যাক গ্রিলিশ একটি করে গোল দেন। ইরানের হয়ে সান্ত্বনার গোলটি করেছেন মেহেদি তারেমি।
দুই দলের লড়াইয়ের শুরুটা ছিল দারুণ। তবে ম্যাচের অষ্টম মিনিটে গোলরক্ষক আলি রেজা আঘাত পেলে প্রথম ধাক্কা খায় ইরান। প্রায় ৭ মিনিট সেবা-শুশ্রূষা নেয়ার পর উঠে দাঁড়ালেও খেলার মতো অবস্থায় ছিলেন না তিনি। যার ফলে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন ইরান অধিনায়ক।
এই ধাক্কা সামলে ৩৫ মিনিট পর্যন্ত নিজেদের জাল অক্ষত রেখেছিল ইরান। তবে এরপর দারুণ হেড থেকে স্কোরশিটে নাম তোলেন জুডে বেলিংহাম। ৮ মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন বুকায়ো সাকা।
ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে আরেকটি গোল করে ইরানকে একদম ব্যাকফুটে ঠেলে দেন রহিম স্টার্লিং। মাত্র ১১ মিনিটের মাঝে ৩ গোল খেয়ে ম্যাচ থেকে একপ্রকার ছিটকে যায় ইরান। এরপর প্রথমার্ধের বিরতিতে যায় দুই দল।
বিরতি থেকে ফিরেও আক্রমণের ধার কমায়নি ইংল্যান্ড। ৬২ মিনিটে ম্যাচের চতুর্থ ও নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন সাকা। মিনিট তিনেক পর একটি গোল করে লড়াইয়ে ফেরার আভাস দিয়েছিলেন তারেমি। কিন্তু ঐ পর্যন্তই।