মো. ডাবলু চৌধুরী নামে এক বাংলাদেশি সম্প্রতি ইতালির ভেনিসে ১০০ কোটি ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি বাংলা। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১০ হাজার ২৭৭ কোটি টাকার বেশি।
বিবিসি বলছে, বিনিয়োগের জন্য ইতালির মিলানে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল কার্যালয়ের মাধ্যমে ভেনিসের মেয়র অফিসে অনুমতি চেয়েছেন তিনি। যদিও এখনও তিনি অনুমতি পাননি।
ভেনিসের পোর্তো মারঘেরা নামক বন্দর নগরীতে বিনিয়োগের অনুমতি চেয়েছেন তিনি। কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেলে ২০২৩ ভেনিসে কারখানা স্থাপনের কাজ শুরু হবে এবং এতে প্রায় এক হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
ইতালিতে বিনিয়োগের প্রস্তাবটি মার্কিন কোম্পানি হিসেবে দেওয়া হয়েছে, কিন্তু একজন বাংলাদেশি হিসেবে তিনি বাংলাদেশি দূতাবাসের সাহায্য চেয়েছেন।
ডাবলু চৌধুরীর পরিকল্পিত বিনিয়োগের অঙ্কটি বড় হওয়ায় ইতোমধ্যেই তাকে নিয়ে ইতালির গণমাধ্যমে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডাবলু চৌধুরীর জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকায়। ১৯৮৭ সাল থেকে তিনি বাংলাদেশের বাইরে অবস্থান করছেন। পড়াশোনা করেছেন সুইজারল্যান্ডে।
বাংলাদেশের পাশাপাশি যুক্তরাজ্যেরও নাগরিকত্ব রয়েছে তার। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে তার গাড়ির ব্যবসা রয়েছে।
ডাবলু চৌধুরী বিবিসিকে বলেছেন, কয়েকজন ব্যবসায়িক অংশীদারকে সঙ্গে নিয়ে এ বছর তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে এপসিলন মোটরস ইনকর্পোরেশন নামে একটি বিদ্যুৎচালিত গাড়ি নির্মাণ প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছেন। এখন এই প্রতিষ্ঠানের জন্য ইলেকট্রিক বা বিদ্যুৎচালিত গাড়ি নির্মাণের কারখানা তৈরির জন্য তারা ভেনিসে বিনিয়োগ করার আবেদন করেছেন।
তিনি আরও বলেন, এপসিলন মোটরস ইনকর্পোরেশনের উদ্যোক্তাদের বড় অংশ বাংলাদেশি এবং তাদের বিশেষজ্ঞ দলের সদস্যদের বড় অংশই এক সময় জার্মানি এবং চীনে জার্মান গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মার্সিডিজ বেঞ্জের কারখানায় কাজ করতেন।
বিদ্যুৎচালিত গাড়ির কারখানার পাশাপাশি লিথিনিয়াম ব্যাটারি তৈরির কারখানা খোলার পরিকল্পনাও রয়েছে ডাবলু চৌধুরীর।
মিলানে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল এমজেএইচ জাবেদ বিবিসিকে বলেছেন, কিছুদিন আগে ডাবলু চৌধুরী মিলানে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল কার্যালয়ে বিনিয়োগের প্রস্তাব নিয়ে গিয়েছিলেন, যেখানে উপযুক্ত জমির খোঁজ এবং অনুমতির জন্য বাংলাদেশ দূতাবাসের সাহায্য চেয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে বিনিয়োগের প্রস্তাব যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য তিনি আমাদের সাহায্য চেয়েছিলেন। আমি নিজে যখন ভেনিসে গেছি সেসময় আমি নিজ হাতেই তার আবেদনপত্রটি কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দিয়েছি।
ইতালিতে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের মধ্যে অনেকেই দেশটিতে বিনিয়োগ করলেও সেসব বিনিয়োগের আকার বেশি বড় নয়। মূলত দেশটির কৃষি ও সেবাখাতে সেসব বিনিয়োগ করা হয়েছে।