বিশ্বকাপ দিয়ে বন্ধু নেইমারের প্রতিদ্বন্দ্বীতে পরিণত হবেন মেসি। ফরাসি ক্লাব পিএসজিতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে খেলেন লাতিন আমেরিকার দুই ফুটবল পরাশক্তির সেরা দুই তারকা।
আর বিশ্বকাপের মঞ্চে এখন তারা উভয়ের শত্রু। এ পার্থক্য গড়ে দিয়েছে কেবল দুটি জার্সি। গায়েহলুদ আর নীল-সাদা জার্সি চাপালেই নেইমার-মেসি বনে যান নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধি।
বন্ধুত্ব তখন কেবল মাঠের বাইরে প্রযোজ্য। তবে দেশের হয়ে মেসির মুখোমুখি হওয়া নিয়ে তেমন একটা আলোচনায় মাতেন না নেইমার। তবে বন্ধুত্বের চেয়ে দেশ অনেক বড় সে কথাও জানেন দুজনেই।
তাই হাসিমুখেই বন্ধু মেসিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাখেন নেইমার। এ যেন বন্ধুত্ব টিকিয়ে রাখার পাশাপাশি দেশের জন্য সব বিলিয়ে দেওয়ার কৌশল।
এক দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নেইমার বলেছেন, ‘দেশের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে আমার আর মেসির মধ্যে খুব একটা আলোচনা হয় না। তবে যখন ফাইনালে আমরা মুখোমুখি হই, আমি মেসিকে বলি— চ্যাম্পিয়ন আমিই হব। এর পর আমরা প্রচুর হাসি। মেসির সঙ্গে খেলা আমার কাছে বিরাট আনন্দের। দীর্ঘদিনের বিচারে মেসি-ই শ্রেষ্ঠ। ’
পিএসজিতে মেসি ছাড়াও ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী তারকা এমবাপ্পের সঙ্গেও দারুণ বোঝাপড়া রয়েছে নেইমারের।
এমবাপ্পের প্রশংসায় নেইমার বলেন, ‘ওরা (মেসি-এমবাপ্পে) ফুটবলের দুই গ্রেট। এমবাপ্পে তরুণ ফুটবলার। ও নিজেকে উন্নত করছে। তার উন্নতির আরও বাকি আছে। তবে এমবাপ্পে এরই মধ্যে দেখিয়েছে যে, ওর মধ্যে কি প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। ’
যে কোনো মূল্যে মেসি-এমবাপ্পের সঙ্গে খেলতে আগ্রহী নেইমার।
ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার বলেন, ‘আমি সবসময় সেরাদের সঙ্গে খেলা পছন্দ করি। কারণ জেতার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।
কাতার বিশ্বকাপ নিয়েও দারুণ প্রত্যাশা রয়েছে নেইমারের।’
ব্রাজিলিয়ান পোস্টার বয় বলেন, ‘বিশ্বকাপে খেলা আমার স্বপ্নের মতো। যখন থেকে ফুটবল বুঝেছি, তখন থেকেই সেটি। আমি আবার একটা বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পাচ্ছি। সবারই উচ্চ প্রত্যাশা রয়েছে। চিন্তিত নই, রোমাঞ্চিত আমরা। সবাই বিশ্বকাপে সেরাটাই দেবে।’