আলমের খান:চলতি মাসের ২০ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে কাতার বিশ্বকাপ। কাতার বিশ্বকাপ ঘিরে ইতিমধ্যেই উন্মাদনা শুরু হয়ে গিয়েছে। বিশ্ববাসী নিজেদের পছন্দের দলের পক্ষে বিপক্ষে আলোচনা সমালোচনা নিয়ে মেতে উঠেছে।
বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগেই নিজেদের প্রিয় দলের বিশ্বকাপের সম্ভাবনা কতটুকু তা নিয়ে বিশ্লেষণ শুরু করে দিয়েছে সমর্থকরা। বাংলাদেশের প্রসঙ্গে বলা হলে বলতে হবে ফুটবল বিশ্বকাপ এলেই দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায় সারা দেশ। এক ভাগ ব্রাজিল এবং আরেক ভাগ আর্জেন্টিনা।
এই দুই দলের, একদল বিশ্বকাপ নিলেই যেন আনন্দে ভাসবে সারা দেশ। এবারের বিশ্বকাপে বেশ ভালো সম্ভাবনাই রয়েছে ব্রাজিলের। তবে বিগত বিশ্বকাপের ভুল এবার নিশ্চয়ই করতে চাইবেন না ব্রাজিলিয়ানরা। বিগতবার বিশ্বকাপ শুরুর আগেই ব্রাজিলের কোচ বলেছিলেন, আমরা সাতটি ম্যাচেই ভালো পারফর্ম করতে চাই। অর্থাৎ বিশ্বকাপ শুরুর আগেই তার দল ফাইনাল খেলবে এমনটি ধরে নিয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান কোচ। তবে সেই আসরে কোয়ার্টার ফাইনালও অতিক্রম করতে পারেনি ব্রাজিলিয়ানরা।
তাই নিশ্চয়ই এবার ম্যাচ বাই ম্যাচ এগোতে চাইবে ব্রাজিল। গ্রুপ জিতে অবস্থান করছে ব্রাজিল। গ্রুপে ব্রাজিলের তিন প্রতিপক্ষ সার্বিয়া,সুইজারল্যান্ড এবং ক্যামেরুন। ২৫ নভেম্বর সার্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে ব্রাজিল। গ্রুপে ব্রাজিলই নিঃসন্দেহে সবচেয়ে শক্তিশালী দল। গ্রুপের অন্যান্য দলগুলোর চেয়ে যোজন ব্যবধানে গিয়ে নেইমার বাহিনী। তবে গ্রুপ জিতে ক্যামেরুনের বিপক্ষে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে ব্রাজিলিয়ানরা।
সাম্প্রতিক সময়ে বেশ আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলছে ক্যামেরুন। ক্যামেরুনের এই নতুন প্রজন্মের ফুটবলাররা বেশ সাহসী এবং ভয়ডরহীন ফুটবল খেলতে পছন্দ করেন। এছাড়াও ছোট দল হিসেবে বিশ্বকাপে ক্যামেরুনের পারফরমেন্স বেশ দুর্দান্ত।
ট্রফিতেই চোখ থাকবে নেইমার বাহিনীর। তবে প্রতিটি ম্যাচ কেই সমান গুরুত্ব দিয়ে ম্যাচ বাই ম্যাচ আগানোটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। সেইক্ষেত্রে গ্রুপ পর্বে ক্যামেরুনকে নিশ্চয়ই হালকা ভাবে নেবে না ব্রাজিল। দুইদলের মধ্যে সেরা ফুটবলটাই হোক এমনটাই প্রত্যাশা করবে ফুটবল সমর্থকরা।