ভারতে নারীকে হত্যা করে ভিডিও পোস্ট, পুলিশকেও চ্যালেঞ্জ

নারীকে হত্যার পর ভিডিও পোস্ট করে পুলিশকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া ভিডিও পোস্টে ওই ব্যক্তি বলেছেন, ‘বিশ্বাসঘাতকতা মেনে নেওয়া যায় না। বাবু, স্বর্গে আমাদের আবার দেখা হবে। ’

এনডিটিভি জানিয়েছে, এমনই একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে।

সেই ভিডিওতে হুমকির সুরে কথা বলছেন ওই ব্যক্তি। কথা বলতে বলতেই পাশে কম্বলে ঢাকা এক নারীর দেহ দেখিয়েছেন। তার কণ্ঠনালি কেটে ফেলা হয়েছে।
শ্রদ্ধা ওয়ালকর হত্যাকাণ্ড ঘিরে যখন পুরো ভারতে তোলপাড় চলছে, ঠিক সে সময়ই আরেকটি শিউরে ওঠা ঘটনা প্রকাশ্যে এলো। এবার ঘটনাস্থল ভারতের মধ্য প্রদেশের জবলপুর।

এক নারীকে কণ্ঠনালি কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে অভিজিৎ পাতিদার নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে পুলিশকেও চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘ক্ষমতা থাকলে আমাকে গ্রেপ্তার করুন। ’

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম শিল্পা জারিয়া। বয়স ২৫ বছর। জবলপুরের মেখলা রিসোর্ট থেকে উদ্ধার হয়েছে শিল্পার গলা কাটা মরদেহ। পর পর বেশ কয়েকটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন অভিযুক্ত।

সেসব ভিডিওর মধ্যে একটিতে তিনি বলেছেন, ‘বিশ্বাসঘাতকতা মেনে নেওয়া যায় না। ’ এর পরই কম্বলের নিচ থেকে শিল্পার গলা কাটা দেহ দেখান। তারপর বলেন, ‘বাবু, আমাদের আবার দেখা হবে স্বর্গে। ’

আরেকটি ভিডিওতে নিজের নাম প্রকাশ করে অভিজিৎ দাবি করেছেন, তিনি পাটনার একজন ব্যবসায়ী। তার ব্যবসার সঙ্গী জিতেন্দ্র কুমারের সঙ্গে শিল্পার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

অভিজিৎ দাবি করেছেন, সেই সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে জিতেন্দ্রর কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে জবলপুরে পালিয়ে এসেছিলেন শিল্পা। জিতেন্দ্রর নির্দেশেই তাই জবলপুরে এসে শিল্পাকে হত্যা করেছেন অভিজিৎ।

এরই মধ্যে জিতেন্দ্র এবং তার ঘনিষ্ঠ সুমিত পাটেলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জবলপুর পুলিশের এসএসপি প্রিয়াঙ্কা শুক্লা জানিয়েছেন, এক মাস ধরে জিতেন্দ্রর বাড়িতে থাকতেন অভিজিৎ।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, গত ৬ নভেম্বর মেখলা রিসোর্টে একটি ঘর ভাড়া নিয়েছিলেন অভিজিৎ। রাতে একাই ছিলেন। পরদিন বিকেলে এক নারী আসেন সেখানে এবং তারা দুজন খাবারের অর্ডার দেন। এক ঘণ্টা পর হোটেলের ঘরের দরজা বন্ধ করে অভিজিৎ বেরিয়ে যান। ৮ নভেম্বর হোটেলের দরজা ভেঙে শিল্পার গলা কাটা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এসএসপি জানিয়েছেন, অভিজিতের খোঁজে চারটি বিশেষ দল গঠন করে মধ্য প্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও গুজরাটে পাঠানো হয়েছে।