আগামী বছর অর্থাৎ মাত্র দেড় মাস পর ফ্রান্সে আসছে নতুন অভিবাসন আইন। ধারণা করা হচ্ছে, আইনটি যেমন অভিবাসীদের কঠিন হবে, তেমনি হবেও প্রবাসীবান্ধব। ২০২৩ সালের শুরুতে এই আইনের খসড়া প্রস্তাব আকারে সংসদে উত্থাপন করার কথা রয়েছে।
সম্প্রতি ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেখাল্দ দাখমানা এবং শ্রমমন্ত্রী অলিভিয়ে ডুসসো ফরাসী জাতীয় গণমাধ্যম ‘লো মোন্দ‘ পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে কথা বলছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যে অভিবাসন আইনের কথা ভাবছি তা হলো খারাপ লোকদের সঙ্গে খারাপ এবং ভালো মানুষদের সঙ্গে ভালো আচরণ করা।’
সম্ভাব্য আইনের মূল বিষয়গুলো উল্লেখ করলেও তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেননি তারা। তবে তাদের এই সাক্ষাৎকারে প্রবাসীদের জন্য বেশ কিছু ইতিবাচক দিক রয়েছে।
ফরাসী শ্রমমন্ত্রী অলিভিয়ে ডুসসো বলেন, ফ্রান্সে বেশ কিছু খাতে শ্রমিক সংকট রয়েছে। সেই শ্রমিক সংকটে থাকা খাতগুলোতে অভিবাসীদের বৈধতা প্রদানের সুযোগ করে দেওয়া,অনিয়মিত অভিবাসীদের নিয়মিত করার চলমান যে প্রক্রিয়া রয়েছে সেটি আরও সহজ করা, যেসব অভিবাসীরা কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয় তাদের রেসিডেন্ট কার্ড স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়ায় সহজে নবায়ন করা, অভিবাসীদের ফরাসি ভাষার দক্ষতার ওপর জোর দেওয়া এবং আশ্রয়প্রার্থীদের প্রথম ছয় মাস কাজ করার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেখাল্দ দাখমানা বলছেন, ‘যারা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোরতা থাকবে এই আইনে। যাদের ফ্রান্স ত্যাগের আইনি নোটিশ (সখতি লেটার) জারি থাকবে, তাদের উপর কড়া নজরদারি বাড়ানো হবে। সেইসঙ্গে দ্রুত দেশ ত্যাগের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। ফ্রান্স ত্যাগের নোটিশ পাওয়া অভিবাসীদের ‘অপরাধী’ তালিকায় যুক্ত করার প্রস্তাব রয়েছে এই আইনে।
এ ছাড়াও আশ্রয়প্রার্থীদের আশ্রয় আইন সংস্কার করা, আপীলের সময় কমিয়ে আনা, সময়সীমার মধ্যে আপীল না করলে ফ্রান্স ত্যাগের আইনি নোটিশ জারি করার বিধান রয়েছে।
অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্ষমতাসীন মধ্যপন্থী ইমানুয়েল মাখোঁ সরকার ডান, বাম ও কট্টরপন্থীর রোষানল এড়াতে রাজনীতির কৌশল হিসেবে এমন একটি আইন করতে চাচ্ছেন।এতে অভিবাসন নীতিতে একটা ভারসাম্য থাকবে।