অবশেষে পর্দা নামল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। ১০ উইকেটের পরাজয়ে যে ভারতের দল গঠন থেকে বিশ্বকাপ পারফরম্যান্স- সবই পড়ে গেছে প্রশ্নের মুখে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে সেই ভারতও আয় করেছে ৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এমনকি বিশ্বকাপ থেকে বাংলাদেশের আয়ের অঙ্কও পৌঁছে গেছে কোটিতে। সুপার টুয়েলভে খেলা প্রতিটি দলই কোটি টাকারও বেশি পেয়েছে বিশ্বকাপ থেকে।
অনেক বছর পর টাইগাররা এবার সরাসরি সুপার টুয়েলভে অংশ নিয়েছিল। সেমিফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হলেও সুপার টুয়েলভের একেকটি দলকে আইসিসি দিয়েছে ৭০ হাজার ডলার বা ৭০ লাখ টাকা। ভারত, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারলেও বাংলাদেশ গ্রুপ পর্বে হারিয়েছিল নেদারল্যান্ডস ও জিম্বাবুয়েকে। এই দুটি জয়ের জন্য বাংলাদেশ পেয়েছে আরও ৪০ হাজার ডলার বা ৪০ লাখ টাকা করে। ফলে সব মিলিয়ে বিশ্বকাপ থেকে বাংলাদেশের আয়ের অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
আইসিসি আগেই জানিয়ে রেখেছিল, টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন দল ১.৬ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ১৬ কোটি টাকা প্রাইজমানি পাবে। পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ গেছে ইংল্যান্ডের পকেটে।
এছাড়া রানার আপ হয়ে বিশ্বকাপের স্বপ্ন ভঙ্গ হলেও বাবর আজমের দল পাকিস্তান পেয়েছে চ্যাম্পিয়ন দল ইংল্যান্ডের অর্ধেক, অর্থাৎ ৮ লাখ ডলার বা ৮ কোটি টাকা। ভারতের মতো সেমিফাইনালে বিদায় নেওয়া নিউজিল্যান্ড পেয়েছে ৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা, কারণ তারা তিনটি ম্যাচে জয় পেয়েছিল, একটি ম্যাচ ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে।
সুপার টুয়েলভের দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম উপার্জন করেছে আফগানিস্তান। পয়েন্ট ভাগাভাগি থেকে ২ পয়েন্ট পাওয়া আফগানরা ১ কোটি ১০ লাখ টাকা নিয়ে দেশে ফিরেছে। এছাড়া জিম্বাবুয়ে ১ কোটি ৩০ লাখ এবং নেদারল্যান্ডস বাংলাদেশের সমান দেড় কোটি টাকা পেয়েছে। শ্রীলঙ্কার টাকার অঙ্কও বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের সমান। দক্ষিণ আফ্রিকা পেয়েছে ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এছাড়া অট্রেলিয়া ২ কোটি ১০ লাখ ও আয়ারল্যান্ড ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা পেয়েছে বিশ্বকাপ খেলে।
আবার নেদারল্যান্ডস, জিম্বাবুয়ে, শ্রীলঙ্কা ও আয়ারল্যান্ড সুপার টুয়েলভের দৌড়ে থাকাকালে অর্থাৎ প্রথম পর্বের প্রতিটি জয়ের জন্য ৪০ লাখ ডলার করে বাড়তি অর্থ পেয়েছে।
অবশ্য যেসব দল কোনো ম্যাচ জিততে পারেনি, কিংবা বাগিয়ে নিতে পারেনি কোনো পয়েন্ট, তাদেরও কিন্তু খালি হাতে ফিরতে হয়নি। আইসিসি সবার জন্যই রেখেছিল অর্থ পুরস্কারের ব্যবস্থা। সুপার টুয়েলভে কোনো দল জয়হীন থাকলেও ৭০ লাখ ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭০ লাখ টাকা নিয়ে দেশে ফিরত। যে চারটি দল প্রথম পর্ব খেলে বাদ পড়েছে, তারা প্রত্যেকে পেয়েছে ৪০ হাজার ডলার বা ৪০ লাখ টাকা করে। দুইবারের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ এই অঙ্কের টাকা পেয়েছে নামিবিয়া, স্কটল্যান্ড ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক সুপার টুয়েলভে খেলা দলগুলোর আয়ের পরিমাণ
ইংল্যান্ড – ১৬ কোটি টাকা
পাকিস্তান – ৮ কোটি টাকা
ভারত – ৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা
নিউজিল্যান্ড – ৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা
অস্ট্রেলিয়া – ২ কোটি ১০ লাখ টাকা
দক্ষিণ আফ্রিকা – ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা
নেদারল্যান্ডস – ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা (সাথে প্রথম পর্বের ৮০ লাখ টাকা)
বাংলাদেশ – ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা
জিম্বাবুয়ে – ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা (সাথে প্রথম পর্বের ৮০ লাখ টাকা)
শ্রীলঙ্কা – ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা (সাথে প্রথম পর্বের ৮০ লাখ টাকা)
আয়ারল্যান্ড – ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা (সাথে প্রথম পর্বের ৮০ লাখ টাকা)
আফগানিস্তান – ১ কোটি ১০ লাখ টাকা