বিশ্বব্যাপী চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যে কমেছে অপরিশোধিত তেলের দাম। সোমবার প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ১ মার্কিন ডলারেরও বেশি কমেছে। সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
গত সপ্তাহের শেষ দিকে চীনের কর্মকর্তারা কোভিড নিয়ন্ত্রণে জিরো নীতি প্রয়োগের বিষয়টি অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত পুনর্ব্যক্ত করেন। চীনের এমন সিদ্ধান্তে তেলের চাহিদা বাড়ার যে আশা করা হচ্ছিল সেই আশা ভঙ্গ হয়। এরপরই তেলের দাম আরও কমল।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী সোমবার ব্রেন্ট ক্রুডের (অপরিশোধিত) দাম প্রতি ব্যারেলে ১.২০ ডলার কমে হয়েছে ৯৭.৩৭ ডলার। এর আগে দাম রেকর্ড পরিমাণ কমে ৯৬.৫০ ডলার ছুঁয়েছিল। আর ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমেডিয়েট ক্রুডের দাম প্রতি ব্যারেলে ১.৩৭ ডলার কমে হয়েছে ৯০.৪০ ডলার।
কয়েকদিন আগে খবর বের হয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল আমদানীকারক দেশ চীন নিজেদের কঠোর জিরো কোভিড নীতি থেকে সরে আসবে। এতে করে তেলের চাহিদা বাড়বে এমন আশা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু চীনের কর্মকর্তারা যখন জানালেন কোভিড নিয়ন্ত্রণে কঠোর নীতি থেকে সরে আসবেন না তারা; তখনই তেলের চাহিদা বাড়ার আশা ভঙ্গ হয়েছে। ফলে বিশ্বব্যাপী তেলের দামও কমেছে।
তেলের দাম কমার কারণ উল্লেখ করে সিএমসি বাজার বিশ্লেষক তিনা তেং রয়টার্সকে বলেছেন, ‘তেলের দাম কমেছে কারণ চীনের কর্মকর্তারা কঠোর কোভিড নীতি ধরে রাখার ঘোষণা দিয়েছে। চীনে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেড়েছে, যার কারণে আরও কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করা হতে পারে। এটি তেলের চাহিদার বিষয়টি অন্ধকারে ফেলে দিয়েছে।’
তাছাড়া মার্কিন ডলারের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টিও তেলের বাজারে প্রভাব ফেলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
যখন শোনা গিয়েছিল চীন তাদের জিরো কোভিড নিয়ন্ত্রণ নীতি থেকে সরে আসবে তখন ব্রেন্ট এবং ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমেডিয়েট ক্রুডের দাম যথাক্রমে ২.৯ এবং ৫.৪ ভাগ বেড়েছিল। কিন্তু শনিবার একটি সংবাদ সম্মেলনে চীনের কর্মকর্তারা জানান, যতক্ষণ পর্যন্ত সংক্রমণ দেখা দেবে ততক্ষণ কঠোর নীতি অবলম্বন করবেন তারা।