ঘরোয়া ফুটবলে দলবদল সংস্কৃতি ফিরে এসেছে অনেকটা। গতকাল মোহামেডান এসেছিল ঘোড়া, বাদ্য যন্ত্র বাজিয়ে। আজ বসুন্ধরা ঘোড়ার সঙ্গে, হাতিও যোগ করেছে।
পেশাদার লিগের ক্লাবগুলোর মধ্যে একমাত্র বসুন্ধরা কিংসেরই নারী দল রয়েছে। পুরুষদের পাশাপাশি নারী ফুটবলেও চলছে দলবদল। আজ নারী লিগের দলবদলের শেষ দিন। জিকো, রবসনদের সঙ্গে ছিলেন কৃষ্ণা-সানজিদারাও। সাবিনা খাতুন মালদ্বীপ থেকে ৮ নভেম্বর ঢাকায় পৌছাবেন।
গত মৌসুমে জিকোরা হ্যাটট্রিক লিগ শিরোপা জিতেছেন। এবার কৃষ্ণা-সানজিদাদের সেই হ্যাটট্রিক স্পর্শ করার হাতছানি। নারীদের লিগে ১২ দল অংশগ্রহণ করবে। এর মধ্যে বসুন্ধরা কিংসই সবচেয়ে শক্তিশালী।
বসুন্ধরা কিংসের নারী দলে বিগত দুই মৌসুম হেড কোচ ছিলেন আবু ফয়সাল। এবার তার স্থলাষিভিক্ত হয়েছেন সৈয়দ গোলাম জিলানী। গত কয়েক বছর ক্লাব কোচিং করালেও ২০১৩ সালে তিনি জাতীয় নারী দলের কোচ ছিলেন। ফলে কৃষ্ণা-সানজিদারা তার কাছে অপরিচিত কেউ নন।
কাগজে-কলমে বসুন্ধরা কিংস সেরা হলেও জিলানী এখানেও খানিকটা চ্যালেঞ্জ দেখছেন, ‘অনেকের এইচএসসি পরীক্ষা রয়েছে। আবার অনেকের ইনজুরি রয়েছে। এসব বিষয় সমন্বয় করেই আমাদের মাঠে খেলতে হবে।’
বসুন্ধরা কিংসকে গত মৌসুমে খানিকটা চ্যালেঞ্জ দিয়েছিল আতাউর রহমান ভূূইয়া কলেজ স্পোর্টি ক্লাব। সেই দলের স্বত্তাধিকারী বাফুফে সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভুইয়া মানিক বলেন, ‘আমাদের গত বছরের খেলোয়াড়ই রয়েছে। এদের সঙ্গে তিন বছরের চুক্তি। মাঠে লড়াই করার চেষ্টা করবে।’