হঠাৎ করেই ইউক্রেনজুড়ে হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া। ক্রিমিয়ার কৃষ্ণ সাগরে ড্রোন হামলার জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করার দুদিন পর কিয়েভসহ ইউক্রেনের প্রধান প্রধান শহরগুলোতে ব্যাপক আকারে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু রুশ বাহিনী।
এতে বিদ্যুৎ ও পানির তীব্র সংকটে পড়েছে ইউক্রেনের বাসিন্দারা। মাত্র এক বোতল পানির জন্য রাজধানী কিয়েভে হাহাকার চলছে। দীর্ঘ লাইন ধরেও অনেকে পানি পাচ্ছেন না।
মঙ্গলবার এনবিসি ও বিবিসির প্রকাশিত এ ভিডিওতে কিয়েভবাসীর এমন করুণ চিত্রের দেখা মিলল।
ভিডিওতে দেখা যায়, এক বোতল পানির জন্য কিয়েভের মানুষ দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন। বাড়িতে পানির সরবরাহ না থাকায় পানির পাম্পগুলোতে এসে তারা ভিড় করছেন।
পানি সংকট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো। তিনি বলেছেন, কিয়েভের ৪০ শতাংশ মানুষ সুপেয় পানির সংকটে রয়েছে এবং ২ লাখ ৭০ হাজার বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রুশ হামলায় পানি, বিদ্যুৎ, বাঁধসহ জ্বালানি অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক স্থানে বিদ্যুৎ, তাপ ও পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।
উত্তর-পূর্ব খারকিভ অঞ্চলের গভর্নর ওলেহ সিনহুবভ টেলিগ্রামে বলেছেন, ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভের প্রায় ৫০ হাজার বাসিন্দাসহ রুশ হামলার পর প্রায় এক লাখ ৪০ হাজার বাসিন্দা বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছেন।
ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সঙ্গে রাশিয়াকে সংযুক্তকারী ইউরোপের বৃহত্তম রেল ও সড়ক সেতুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ এবং অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার প্রতিশোধ হিসেবে গত ৮ অক্টোবর থেকে ইউক্রেনের জ্বালানি নেটওয়ার্ক ও অবকাঠামোগুলোতে আক্রমণ শুরু করে রাশিয়া।
সোমবার ইউক্রেনের জ্বালানি স্থাপনা লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রাশিয়া। এতে কিয়েভসহ অন্যান্য শহরে বিদ্যুৎ অবকাঠামো ভেঙে পড়েছে। ফলে পানির সংকট দেখা দিয়েছে।