এক ডজনেরও বেশি ইরানি কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পুলিশের হেফাজতে ইরানের প্রতিবাদী নারী মাহসা আমিনির মৃত্যুর ঘটনায় দেশজুড়ে চলমান বিক্ষোভ দেশটির সরকার কঠোরভাবে দমন করায় এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
বুধবার এসব কর্মকর্তাকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে। খবর এএফপির।
নরওয়েভিত্তিক মানবাধিকার দল হেনগো জানিয়েছে, আমিনির মৃত্যুর ৪০তম দিন পালনের সময় হাজার হাজার বিক্ষোভকারীর ওপর গুলি চালায় নিরাপত্তাকর্মীরা। এর পরই এ নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে বলে জানা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছেন ইসলামিক রেভ্যুলেশনারি গার্ড কর্পসের গোয়েন্দাপ্রধান মোহাম্মদ কাজেমি, সিস্তান ও বেলুচিস্তান প্রদেশের গভর্নর হোসেন মোদারেস খিয়াবানি। এ দুই এলাকায় বিক্ষোভে বেশি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।
এ ছাড়া কালো তালিকায় রয়েছেন ইসলামিক রেভ্যুলেশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) দুই কর্মকর্তা। তাদের একজন ইসফাহান শহরের পুলিশপ্রধান। এ ছাড়া জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ের সাতজন কারাগার কর্মকর্তা রয়েছেন এ তালিকায়।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ বিভাগ জানিয়েছে, জুনে আইআরজিসির গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান হওয়ার পর থেকে কাজেমি ইরানের সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ সহিংসভাবে দমন করেছেন। আইআরজিসি ও এর বাসিজ সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের ওপর প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্র বেলুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী জাহেদান এলাকায় ৩০ সেপ্টেম্বর নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ৮০ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় সিস্তান ও বেলুচিস্তানের গভর্নর খিয়াবানিকে দায়ী করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইরানের দুই গোয়েন্দা কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এ দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হ্যাকারদের প্রশিক্ষণ, নিয়োগ ও ইরান সরকারের ওপর ইন্টারনেটের সেন্সরশিপ পরিচালনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এক বিবৃতিতে জানান, ইরানের নীতি পুলিশের হেফাজতে ২২ বছরের মাহসা আমিনির মৃত্যুর ৪০ দিন পার হয়েছে। তারা আমিনির পরিবার ও ইরানের জনগণের জন্য শোক এবং তাদের সঙ্গে একাত্মতা জানান। যুক্তরাষ্ট্র ইরানের জনগণের পাশে থাকতে ও বিক্ষোভকারীদের ওপর দমন-পীড়নের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।