বিশ্বকাপে যত রেকর্ডের সামনে দাড়িয়ে সাকিব

বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোষ্টারবয় সাকিব আল হাসান। ব্যাট ও বল হাতে অলরাউন্ড পারফর্মেন্স করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দীর্ঘদিন ধরেই নিজেকে বিশ্বসেরা হিসেবে তুলে ধরেছেন। অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অষ্টম আসরের পর্দা উঠবে আগামীকাল রোববার (১৬ অক্টোবর)। এবারের আসরে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকির আল হাসানের সামনেও কয়েকটি রেকর্ডের হাতছানি দিচ্ছে।

বিশ্বকাপে প্রথম বোলার হিসেবে পঞ্চাশ উইকেট

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১২২ উইকেট নিয়ে যৌথভাবে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি সাকিব আল হাসান ও নিউজিল্যান্ডের পেসার টিম সাউদি। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৪১ উইকেট নিয়ে সবার উপরেই রয়েছেন সাকিব। এবারের আসরে ৯ উইকেট তুলে নিতে পারলেই প্রথম বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পঞ্চাশ উইকেট নেয়ার অনন্য রেকর্ড গড়বেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।

এই তালিকায় সাকিবের ধারে কাছেও নেই এবারের বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়া কোনো বোলার। তার রেকর্ড ভাঙার পথে কাছাকাছি প্রতিদ্বন্দ্বী দশ নম্বরে থাকা ভারতীয় অফ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন ১৮ ম্যাচে নিয়েছেন ২৬ উইকেট। তারপর আছেন অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক (২৪) আর নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদিরা (২২)।

ম্যাচে ৪ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গত সাত আসরে মাত্র দুজন বোলার ৩টি ম্যাচে ৪টি বা তার চেয়ে বেশি উইকেট নিতে পেরেছেন। এদের মধ্যে একজন পাকিস্তানের সাবেক অফ স্পিনার সাঈদ আজমল, অপরজন বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান। ফলে সাকিবের সামনে এখন এককভাবে শীর্ষে উঠে যাওয়ার দারুণ সুযোগ রয়েছে।

এ ছাড়া ২টি ম্যাচে চার বা তার বেশি উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব আছে পাঁচ বোলারের। ওই পাঁচজনের মধ্যে বিশ্বকাপে আছেন শুধু বাংলাদেশের মোস্তাফিজুর রহমান।

সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় সেরা পাঁচে উঠার হাতছানি

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যক্তিগতভাবে সবচেয়ে বেশি রানের মালিকানায় সবার উপরে শ্রীলঙ্কান ব্যাটার মাহেলা জয়াবর্ধনে। ৩১ ম্যাচ খেলে সাবেক লঙ্কান অধিনায়কের রান ১০১৬। এর পরের তালিকায় ৯৬৫ রান নিয়ে দুইয়ে ক্যারিবীয় ব্যাটিং দানব ক্রিস গেইল। এরপর ৮৯৭ রান নিয়ে তিনে তিলকারত্নে দিলশান। তবে এদের কেউই খেলছেন না এবারের বিশ্বকাপে।

এবারের বিশ্বকাপে খেলছেন এমন ব্যাটারদের মধ্যে ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা ৮৪৭ ও বিরাট কোহলি ৮৪৫ রান করেছেন। ফলে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের রেকর্ড ভেঙে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে তাদের সামনে। অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারও ৭৬২ রান নিয়ে আছেন লড়াইয়ে। ৭১৭ রান করা দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি ভিলিয়ার্স অবসরে গেছেন আগেই। আর বাংলাদেশের অধিনায়ক ৬৯৮ রান নিয়ে আছেন সপ্তম স্থানে। এবারের বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলে সেরা পাঁচে উঠে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে তার সামনে।

রোহিতের পাশে সাকিব

ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হয় ২০০৭ সাল থেকে। এরপর যথাক্রমে ২০০৯, ২০১০, ২০১২, ২০১৪, ২০১৬ ও ২০২১ সালে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করে। এবারের অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপের স্কোয়াডে আছেন এমন ক্রিকেটারদের মধ্যে শুধু ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান আগের সাত বিশ্বকাপ আসরেও প্রতিনিধিত্ব করেছেন।