সুইজারল্যান্ডের সরকার সংসদে আইনের একটি খসড়া পাঠিয়েছে। সেই আইনে প্রস্তাব করা হয়েছে, যদি কেউ মুখ ঢাকা আইন ‘বোরকা নিষিদ্ধ’ ভঙ্গ করে তাহলে তাকে প্রায় এক হাজার ডলার জরিমানা করা হবে। বাংলাদেশের মুদ্রার তুলনায় যা এক লাখ টাকার সমান।
গত বছর সুইজারল্যান্ডে মুখ ঢাকা বা বোরকা নিষিদ্ধ নিয়ে গণভোট হয়। যেখানে ৫১.২ ভাগ মানুষ এর পক্ষে ভোট দেয়। এরপরই এবার জরিমানার বিষয়টি সামনে আনা হলো।
ওই সময় সুইজারল্যান্ডের এমন পদক্ষেপকে ইসলামফোবিক এবং যৌনতাবাদী হিসেবে সমালোচনা করা হয়েছিল।
প্রথমে মুখ ঢাকা আইন ভঙ্গ করার বিষয়টিকে অপরাধ হিসেবে গণ্য এবং ১০ হাজার ডলার জরিমানা করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু পরামর্শের পর মন্ত্রীসভা এই প্রস্তাবে সম্মতি দেয়নি।
তারা বিবৃতিতে জানায়, মুখ ঢাকার বিষয়টি নিষিদ্ধ করা হচ্ছে জননিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য। শাস্তি দেওয়ার বিষয়টি মুখ্য না।
তবে স্বাস্থ্যগত বা প্রাকৃতিক কারণে মুখ ঢাকার সুযোগ রাখা হয়েছে। যেমন করোনার কারণে মুখ ঢাকা যাবে।
৮৬ লাখ মানুষ সুইজারল্যান্ডে বসবাস করেন। এরমধ্যে মাত্র ৫ ভাগ হলো মুসলিম। যাদের বেশিরভাগের আদি নিবাস ছিল তুরস্ক, বসনিয়া এবং কসভোতে।
লুসার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সুইজাল্যান্ডে মাত্র ৩০ জন নারী নিকাব পরেন বা মুখ ঢাকেন।
বিশ্বের মধ্যে মাত্র পাঁচটি দেশে উন্মুক্ত স্থানে মুখ ঢাকা নিষিদ্ধ। ২০১১ সালে ফ্রান্স পুরো মুখ ঢাকা নিষিদ্ধ করে। অন্যদিকে ডেনমার্ক, অস্ট্রিয়া, নেদারল্যান্ড ও বুলগেরিয়ায় উন্মুক্ত স্থানে আংশিক অথবা পুরোপুরি মুখ ঢাকায় নিষেধাজ্ঞা আছে।