ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করেন দুই কিউই ওপেনার ফিন অ্যালেন ও ডেভন কনওয়ে। ওপেনার অ্যালেনকে ব্যক্তিগত ৩২ রানে ইয়াসির আলীর ক্যাচ বানিয়ে ফিরিয়েছেন শরিফুল ইসলাম।
অ্যালেনের ১৯ বলের ইনিংসটি সাজানো ছিল ২ ছক্কা আর তিন চারে। পাওয়ার প্লের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন কিউই ব্যাটাররা। তারা প্রথম ছয় ওভারে তুলে নেন ৫৪ রান।
দ্বিতীয় উইকেটে মার্টিন গাপটিলকে নিয়ে একটি পঞ্চাশোর্ধ রানের জুটি গড়েন কনওয়ে। এই জুটি গড়ার পথে মাত্র ৩০ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন কনওয়ে। এই দুজনের ব্যাটে বড় রানের সপ্ন দেখছে কিউইরা।
দ্বিতীয় উইকেটে গাপটিল ও কনওয়ের ৮২ রানের জুটি ভেঙেছেন এবাদত হোসেন। এই টাইগার পেসারকে লং অন দিয়ে উড়িয়ে মেরেছিলেন ৩৪ রান করা গাপটিল। যদিও ব্যাটে বলে ঠিক মতো না হওয়ায় সীমানার কাছে নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ধরা পড়েন তিনি।
এরপর নিউজিল্যান্ড শিবিরে জোড়া আঘাত হেনেছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। টাইগার এই পেসারের লেন্থ বলে পুল করতে গিয়ে সীমানার কাছে নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ক্যাচ দিয়েছেন কনওয়ে। এর ফলে ৪০ বলে তার ৬৪ রানের ইনিংস ভেঙেছে।
এর দুই বল পর মার্ক চ্যাপম্যানকে বোল্ড করে আউট করেন সাইফউদ্দিন। যদিও এরপর উইকেটে এসেই ঝড় তোলেন গ্ল্যান ফিলিপস। টাইগার বোলারদের তুলোধোনা করে ১৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। ব্যক্তিগত ৬০ রানে তিনি এবাদতের ওপর চড়াও হতে গিয়ে বোল্ড হন। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৫ ছক্কা আর দুই চারে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
নিউজিল্যান্ড- ২০৮/৫ (২০ ওভার) (অ্যালেন ৩২, কনওয়ে ৬৪, গাপটিল ৩৪, ফিলিপস ৬০; এবাদত ২/৪০, সাইফউদ্দিন ২/৩৭)