রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পাল্টে দিয়েছে বৈশ্বিক কূটনীতির রূপরেখা। পশ্চিমাদের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কোচ্ছেদ বিশ্বে উন্মোচিত করেছে নতুন মেরুকরণ। এর ওপরে ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠা হচ্ছে নতুন অর্থনৈতিক জোট।
বৃহস্পতিবার ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট (প্রথম) মোহাম্মদ মোখবার মস্কোর অর্থনৈতিক সম্মেলনে ‘গ্রিন করিডোর’ নামে একটি নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল চালুর কথা বলেন।
মূলত কাস্পিয়ান সাগরে তীরবর্তী অঞ্চলগুলোর স্বার্থের ওপরে ভিত্তি করে নতুন এ জোট চালু করার কথা বলেন ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট। একই অর্থনৈতিক সম্মেলনে রাশিয়াও কাস্পিয়ান এলাকায় উজবেকিস্তান ও ইরানের সঙ্গে পর্যটনখাতে নিজেদের জোট গঠনে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
মূলত রাশিয়া, ইরান, উজবেকিস্তান, কাজাখস্তান ও তুর্কেমিনেস্তানের সমন্বয়ে নতুন এ অর্থনৈতিক জোট গঠন হতে পারে। যদিও দেশগুলো পর্যটনখাতের কথা বলছে, তবে তেল-গ্যাসসহ এ অঞ্চলগুলো জ্বালানি সমৃদ্ধ হওয়ায় বিশ্ববাজারে নতুন এ অর্থনৈতিক জোট আলাদা গুরুত্ব বহন করবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
এ ব্যাপারে মোখবার বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোকে সাহায্যের জন্য ইরান সদাপ্রস্তুত। বিশেষ করে কাস্পিয়ান সাগর তীরবর্তী দেশগুলো নিয়ে একটি অর্থনৈতিক জোট গঠনে আগ্রহী ইরান। একটি সর্বজনীন অর্থনৈতিক জোটই পারে এ অঞ্চলের স্বার্থ রক্ষা করতে।
এর আগে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘর্ষ শুরু হলে, ডলারের ওপরে নির্ভরতা কমাতে ইরান ও রাশিয়া নিজেদের মধ্যে বিকল্প মুদ্রা হিসাবে রিয়াল-রুবলের মাধ্যমে বাণিজ্য করার সিদ্ধান্ত নেয়। মূলত পশ্চিমা নির্ভরতা কাটিয়ে নতুন নতুন জোটের মাধ্যমে নিজেদের বাণিজ্য বিস্তারের লক্ষ্য কাজ করে যাচ্ছে রাশিয়া।