মুর্শিদা খাতুন হ্যাপি ও নিগার সুলতানা জ্যোতির হাফ সেঞ্চুরিতে ১২৯ রানের পুঁজি পেয়েছিল বাংলাদেশ। ম্যাচ জিততে বাকি কাজটা সারেন বোলাররা। হ্যাটট্রিক করা ফারিহা ইসলামের সঙ্গে ফাহিমা খাতুন, সানজিদা আকতার মেঘলা ও রুমানা আহমেদরাও ছিলেন দুর্দান্ত। তাতে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ৮৮ রানের জয় পেল বাংলাদেশের মেয়েরা।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ১৩০ রান তাড়া করতে নেমে ধীরগতির শুরু করেন মালয়েশিয়ার দুই ওপেনার উইনফ্রেড দুরাইসিংগাম এবং ইলশা হান্টার। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে গিয়ে উইকেট হারায় মালয়েশিয়া। ফারিয়া ইসলামের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক উইনফ্রেড।
ম্যাস ইলশাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেরেন হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেন বাঁহাতি এই পেসার। পরের বলে মাহিরাহ ইজ্জাতি ইসমাইলকেও বোল্ড করে অভিষেকেই হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন ফারিহা। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে হ্যাটট্রিক করলেন তিনি। এর আগে বাংলাদেশের হয়ে হ্যাটট্রিক আছে ফাহিমা খাতুনের।
ফারিহার পর মালয়েশিয়ার শিবিরে একের পর এক আঘাত হানেন রুমানা, ফাহিমারা। তাতে দাঁড়াতেই পারেনি মালয়েশিয়ার ব্যাটাররা। শেষ পর্যন্ত মালয়েশিয়া ৪১ রানে অল আউট হলে ৮৮ রানের বড় জয় পায় বাংলাদেশের মেয়েরা। স্বাগতিকদের হয়ে ফারিহা তিনটি এবং দুটি করে উইকেট পেয়েছেন ফাহিমা, সানজিদা ও রুমানা।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম বলেই সাজঘরে ফেরেন শামিমা সুলতানা। শাসা আজমির বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়ে শূন্য রানে আউট হন ডানহাতি এই ওপেনার। উইকেটে থিতু হলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি ফারজানা হক পিংকি। আউট হয়েছেন ১০ রানে।
চারে নেমে শুরু থেকেই মালয়েশিয়ার বোলারদের ওপর চড়াও হন জ্যোতি। আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ে মাত্র ৩২ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। যদিও হাফ সেঞ্চুরির পর আউট হয়েছেন তিনি। ৫৩ রান করা জ্যোতি ফেরার পর আউট হয়েছেন ৫৬ রান করা মুর্শিদা। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১২৯ রান তোলে বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ নারী দল- ১২৯/৫ (২০ ওভার) (মুর্শিদা ৫৬, জ্যোতি ৫৩; আজমি ১/১৫)
মালয়েশিয়া নারী দল- ৪১/১০ (১৮.৫ ওভার) (হান্টার ৯, আরিয়ান্না ৯; ফারিহা ৩/১২, সানজিদা ২/৪, রুমানা ২/১)