ইরানের রাজধানী তেহরানের শরীফ তথ্য ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেশটির দাঙ্গা পুলিশের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে।
পুলিশ হেফাজতে কুর্দি তরুণী মাসা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদে আন্দোলন করছিলেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
ইরানি সংবাদ সংস্থা মেহের নিউজের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় রোববার শরীফ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের ভেতর অবস্থান নেন। তারা সরকার বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া শুরু করেন। এক পর্যায়ে ধর্মীয় নেতাদের বিরুদ্ধেও স্লোগান দেন।
স্লোগানের পরিমাণ বাড়তে থাকলে দাঙ্গা পুলিশ আসে। তারা এসেই কয়েক ঘণ্টার জন্য ক্যাম্পাস ঘিরে ফেলে। এতে আটকে যান শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে দেখা যায় আহত অবস্থায় বেশ কয়েকজনকে বের করে নিয়ে আসা হচ্ছে। তাছাড়া অনেক শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়।
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আইআরএনএ জানিয়েছে, শরীফ বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন।
এ সময় উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও আশপাশের রাস্তায় জড়ো হন। তারাও তখন আটকে যান।
পুলিশ মূলত শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস থেকে সরিয়ে দিতে আসে। তবে মধ্যরাত পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়টির আশপাশে মানুষ ছিল।
উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাসে পাঠদান স্থগিত করে দেয়। এর বদলে অনলাইনে শ্রেণি কার্যক্রম চালানোর ঘোষণা দিয়েছে তারা।
এদিকে নরওয়ে ভিত্তিক ইরানের একটি মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে, মাসা আমিনির মৃত্যুকে ঘিরে শুরু হওয়া আন্দোলনে এখন পর্যন্ত ১৩৩ জন নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে শুধু শুক্রবারই বালুচের জাহেরদান শহরে ৪১ জন নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছে তারা।