ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ সিস্তানে বন্দুকযুদ্ধে ইরানের বিপ্লবী গার্ডসের কর্নেলসহ ১৯ জন নিহত হয়েছেন। প্রদেশটি পাকিস্তানের বেলুচিস্তান সীমান্তের কাছে অবস্থিত।
শুক্রবার ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ মাসের শুরুর দিকে ইরানের নৈতিকতাবিষয়ক পুলিশের হেফাজতে মাহসা আমিনি নামে এক তরুণীর মৃত্যুর পর ইরানজুড়ে যে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে, তার সঙ্গে এ সংঘর্ষের কোনো সম্পর্ক রয়েছে কিনা, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
সিস্তানের আঞ্চলিক গভর্নর হোসেন খিয়াবানি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেছেন, ‘শুক্রবার এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কোরের প্রাদেশিক গোয়েন্দা কর্মকর্তা কর্নেল আলী মুসাভিসহ ১৯ জন নিহত হয়েছেন এবং অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।’
নিহত ও আহত অন্যদের ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানাননি হোসেন খিয়াবানি।
সিস্তান-বেলুচিস্তান সীমান্ত অঞ্চলটি দারিদ্র্যপীড়িত। এখানে আফগানিস্তানেরও সীমান্ত রয়েছে। এ অঞ্চলে মাদক চোরাচালানকারীদের সঙ্গে সংখ্যালঘু বেলুচ ও সুন্নি চরমপন্থি গোষ্ঠীর সঙ্গে প্রায়ই সংঘর্ষ হয়।
শুক্রবার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, বন্দুকধারীরা প্রাদেশিক রাজধানী জাহেদানের একটি থানায় হামলা চালালে নিরাপত্তা বাহিনী পাল্টা হামলা চালায়। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন পথচারীও আহত হয়েছেন।
এদিকে ২২ বছর বয়সি কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যু ঘিরে ইরানে এখনো ব্যাপক বিক্ষোভ চলছে। প্রায় দুই সপ্তাহের এ বিক্ষোভে এ পর্যন্ত ৮৩ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআর)।
সঠিকভাবে হিজাব না পরার অভিযোগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর তেহরান থেকে মাহসা আমিনিকে গ্রেফতার করেছিল ইরানের নৈতিকতাবিষয়ক পুলিশ। পরে পুলিশি হেফাজতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিন দিন সংজ্ঞাহীন থাকার পর হাসপাতালেই তার মৃত্যু হয়।