নজিরবিহীন বন্যা ও অর্থনীতির ভঙ্গুর অবস্থায় কার্যত বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পাকিস্তান। প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব ও রিজার্ভ সংকটের কারণে দেশটিতে জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের দাম দিন দিন বাড়ছে।
এমন সংকটময় পরিস্থিতে এবার জানা গেল, পাকিস্তানের রেল পরিষেবা থমকে গেছে। বন্যায় দেশটির বেলুচিস্তান, সিন্ধু ও খাইবার পাখতুনওয়ার বেশ কিছু অঞ্চলের রেল লাইনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সত্য, তবে পাকিস্তানের বর্তমান এই সমস্যার প্রধান কারণ জ্বালানি তেল ডিজেলের সংকট।
পাকিস্তানের দৈনিক দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে এ সম্পর্কে বলা হয়, স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় দেশের এক তৃতীয়াংশ এলাকা তলিয়ে যাওয়া, ও ভূমিধসের কারণে গত দু’মাসে পাকিস্তানের রেলপথ নেটওয়ার্কে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ওইসব এলাকায় বন্ধ রয়েছে রেল চলাচল।
কিন্তু যেসব রেল লাইন এখনও সচল আছে, সেগুলোতেও ঠিকমতো চলছে না ট্রেন এবং তার প্রধান কারণ ডিজেল সংকট। দেশটির রেল দপ্তরের একটি সূত্র জানিয়েছে, পর্যন্ত পাকিস্তান রেলের লাহোর ইঞ্জিন শেডে মাত্র ৯০ হাজার লিটার ডিজেল রয়েছে। ফয়সালাবাদ স্টেশনে মাত্র একদিন চলার মতো ডিজেল। মুলতান ও শুক্কুর জেলার পরিস্থিতি আরও খারাপ।
পত্রিকাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে পাকিস্তানে মাত্র দু’টি ট্রেন চালু আছে। তার একটি চলছে লাহোর ও রাওয়ালপিন্ডি রুটে, অপরটি পেশোয়ার ও সিন্ধ প্রদেশের রহরি স্টেশন রুটে।
এদিকে পাকিস্তান রেলের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপক আমির বালোচ ডিজেল সংকটের এই তথ্যকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়ে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘আমাদের ডিজেলের কোনো সংকট নেই। একটি বেসরকারি কোম্পানি থেকে ডিজেল কেনা হচ্ছে, প্রয়োজনে ভবিষ্যতে আরও কেনা হবে।’
কিন্তু সরকারের কাছে ডিজেলের মজুত থাকলে কেন বেসরকারি সংস্থা থেকে কেনা হচ্ছে— এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের এই প্রশ্নের কোনো উত্তর তিনি দিতে পারেননি।