অত্যন্ত শক্তিশালী হারিকেন ইয়ানের আঘাতে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য ফ্লোরিডার বিভিন্ন শহর। এতে রাজ্যটির বহু রাস্তা, ভবন বন্যায় প্লাবিত হয়েছে, ধসে পড়েছে বাড়ি-ঘর। এক প্রকার তছনছ হয়েছে পুরো রাজ্য। বিদ্যুৎহীন হয়েছেন ২০ লাখের বেশি মানুষ। এতে এখন পর্যন্ত ৪৫ জনের নিহতের খবর পাওয়া গেছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আজ শনিবার সিএনএনের এক লাইভ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
দেশটির কর্মকর্তারা বলেছেন, ফ্লোরিডার ইতিহাসে এটি বিশাল প্রাকৃতিক দুর্যোগ। তবে ফ্লোরিডা থেকে সরে দেশটির স্থানীয় সময় মধ্য শুক্রবারে ইয়ান সাউথ ক্যারোলিনায় আঘাত হেনেছে। বিবিসি বলছে, এখনও বিপদ কেটে যায়নি। ফ্লোরিডার বিভিন্ন অঞ্চলে কয়েকদিন ব্যাপী বন্যা থাকতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফোর্ট মায়ার্স ও তার লাগোয়া শহর ন্যাপলসে ইয়ান সবচেয়ে বেশি তাণ্ডব চালিয়েছে। এই দুই শহর ফ্লোরিডার লি জেলা অন্তর্গত।
লি’র মেয়র রজার ডেসজারলেইস সিএনএনকে বলেন, কোনো কিছুকে ওপরে তুলে প্রবল জোরের সঙ্গে আছড়ে ফেললে সেটির যে অবস্থা হয়, লি’র প্রায় সব ভবনেরই তেমন অবস্থা। কোনো ভবন আর আস্ত নেই। এছাড়া এই অঞ্চলেই সবচেয়ে বেশি ১৬ জন নিহত হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
রিপোর্ট, বিভিন্ন অঞ্চলে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত হয়েছে। এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার লোককে নিরাপদা স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। পুরো উদ্ধারকাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত প্রকৃত হতাহতের সংখ্যা বলা যাচ্ছে না বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় হারিকেন সেন্টার (এনএইচসি) জানায়, ভয়াবহ বিপজ্জনক ‘ক্যাটাগরি ৪’ মাত্রার হারিকেনে ইয়ান স্থানীয় সময় গত বুধবার বিকেল ৩টা ৫ মিনিটে কায়ো কোস্টা দ্বীপে কাছে আঘাত হানে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২৪০ কিলোমিটার।
এনএইচসি- এর পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, কোস্টা দ্বীপে আঘাত হানার প্রায় দেড়ঘণ্টা পর ফ্লোরিডার মূল ভূখণ্ডে আসে ইয়ান। এ সময় বাতাসের গতিবেগ কিছুটা কমে ঘণ্টায় ১৪৫ মাইলে নেমে আসে।