বিয়েতে নিমন্ত্রিত অতিথিদের সাধ্যানুযায়ী ভালোভাবে আপ্যায়ন করানো একটি বহু প্রাচীন প্রথা। বিয়ের আয়োজন কতটা ভালো হলো তা বিয়ের ভোজনের ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। তাই দল বেঁধে বিয়ে বাড়িতে খাবার খেতে গিয়েছিলেন অতিথিরা। তবে খাবার না পেয়ে না ফেরার কথা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি অনেকে। কনের পরিবারের ব্যতিক্রমী কাণ্ডেই বহু অতিথি না খেয়েই ফিরেছেন।
মূলত বিয়ের খাবার খেতে কনের পরিবার পরিচয়পত্র দেখানোর শর্ত দেওয়ার পর ভোজসভায় ঢুকতেই পারেননি বহু অতিথি। ব্যতিক্রমী এ ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের আমরোহা জেলায়।
রোববার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, অতিথিদের আইডি দেখানোর ও বিয়ে বাড়িতে প্রবেশের জন্য তাদের চেষ্টার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, বিয়েতে যতজনকে দাওয়া করা হয় তার চেয়ে অনেক বেশি অতিথি ঘটনার দিন চলে আসেন। এতে খাবার শেষ হয়ে যায়। এতে কার্যত মাথায় হাত পড়ে যায় কনের পরিবারের। অতিথিদের আটকাতে তাই আধার কার্ড দেখানো বাধ্যতামূলক করে দেন তারা। আর যাদের আধার কার্ড ছিল না, তারা না খেয়েই ফিরে যান।
সংবাদমাধ্যম আরো বলছে, ভারতের উত্তরপ্রদেশের আমরোহা জেলার হাসনাপুরে গত ২১ সেপ্টেম্বর পাশাপাশি দু’টি বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। একটি বিয়ে বাড়িতে যখন বরযাত্রীদের খাবার পরিবেশন করা হচ্ছিল, তখন সেখানে চলে আসেন অন্য বিয়ে বাড়ির অতিথিরাও। তারা বসে খাবারও খাওয়া শুরু করে দেন।
তবে কনের পরিবার কিছুতেই বুঝতে পারছিল না, কারা আসলে তাদের অতিথি। এতে বেঁধে যায় গণ্ডগোল। খাবার শেষ হয়ে যায়। মন খারাপ হয়ে যায় কনের পরিবারের। বাধ্য হয়ে অতিথিদের প্রবেশ বন্ধ করতে আধার কার্ড দেখানোর শর্ত দেন। জানিয়ে দেন, ঐ পরিচয়পত্র ছাড়া প্রবেশ নিষেধ।
যদিও প্রকৃত অনেক অতিথি তাদের আধার কার্ড ছাড়াই বিয়ের অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন এবং কনের পরিবারের দেওয়া শর্তকে তারা অপমান হিসাবে আখ্যা দেন। এতে না খেয়েই অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন অনেকে।
ক্ষুব্ধ অতিথিদের অভিযোগ, আধার কার্ড আনতে হবে নিমন্ত্রণের সময় জানানো হয়নি কেন? কে বিয়েবাড়িতে আধার কার্ড নিয়ে আসেন? বেশ কয়েকজন অতিথি এমন শর্তকে অপমান বলে ব্যাখ্যা করে না খেয়েই বিয়েবাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। আবার অনেকের বাড়ি কাছাকাছি হওয়ায় তারা বাড়ি গিয়ে আধার কার্ড নিয়ে আসেন।